নয়াদিল্লি: কংগ্রেস যেন নয়া উদ্দমে ঘুরে দাড়ানোর পথে। অন্তত কংগ্রেসের রায়পুরে কর্ম সমিতির বৈঠকে সেই ছবিই ধরা পড়ল। যেখানে বেশ কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব পেল।
প্রথমত, কংগ্রেসের নিজস্ব সংবিধানে মহিলা শক্তির উপর জোর! দ্বিতীয়ত, সোনিয়া গান্ধীর রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার ঘোষণা! তৃতীয়ত, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নতুন ইনিংস শুরুর সম্ভাবনা! কংগ্রেসেরে বৃহত্ হুঙ্কার। যেখানে নতুন করে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলিকে এক জোট করতে চেয়ে রায়পুরে কর্মসমিতির থেকে বার্তা কংগ্রেসের। বিজেপি বিরোধী শক্তির সমঝোতায় জোর দিয়ে কংগ্রেসের প্লেনারিতে। সেই ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলিকে ভবিষ্যত্ বলে জানিয়েই কংগ্রেস জোর দিয়েছে মহিলা শক্তির উপর।
কংগ্রেসের ঘোষণা-
• দলীয় সংবিধান সংশোধন করে দলের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণে দলিত ও মহিলারা
• কংগ্রেসের কার্যকর সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৩৫
• এর মধ্যে ৫০ শতাংশ মহিলা, দলিত
• ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারিতে কংগ্রেস ডিজিটার মেম্বারশিপ চালু করবে
কংগ্রেসের ঘোষণার মধ্যে মহিলা শক্তর উপর জোর দেওয়াটা বিশেষ নজর কাড়া। যেখানে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণে মহিলা শক্তির উপর বিশেষ নজর কংগ্রেসকে এগিয়ে রাখছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি যুব কংগ্রেসের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েও কর্মসমিতিতে সোনিয়া-রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার নয়া পরিকল্পনা। জোর গলায় বিজেপির বিরুদ্ধে বার্তার পাশাপাশি সোনিয়া জানিয়েছেন রাজনীতি থেকে তাঁর সন্ন্যাস নেওয়ার কথা। ভারত জোড়ো যাত্রার সময়ই নিজের রাজনীতি ছাড়ার বার্তা দিয়েছিলেন সোনিয়া। এবার রায়পুরে কর্মসমিতির বৈঠকে প্রকাশ্যে সোনিয়া বললেন তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রা থেকে ছুটি নিতে চান। ২০২৪ সালে ভোটের আগে সোনিয়ার এই পদক্ষেপ কংগ্রেসকে এক নয়া চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে।
যেখানে, ক্রমশ ফ্যাক্টর হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-প্লেট প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বর্তমানে কংগ্রেসের মহাসচিব। যিনি হিমাচলের বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের জয়ের নেপথ্যে প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন। ক্রমশ দলের লাগাম ধরে রাহুলের পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও ঘরে-বাইরে কংগ্রেসের ভারসাম্য বজায় রাখছেন।যেখানে সোনিয়া গান্ধীর পর তাঁর আসেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বসবেন কি না সেই নিয়েও জল্পনা থেকে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গ্রহণযোগ্যতা তো আগে ছিলই এবার দাপট বাড়ছে কংগ্রেসে। চোব্বিশের নির্বাচনের আগে কংগ্রেস সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যে বলেই ঘোষণা সোনিয়া ও তাঁর দুই সন্তানের।