নয়াদিল্লি: মা অনেক দিন মারা গিয়েছেন। বাড়ির কাজ এবং অফিস একাই সামলাত সে। তবে বাবা-মা আলাদা থাকায় শ্রদ্ধা বাবার সঙ্গে থাকত না ঠিকই কিন্তু যোগাযোগ ছিল। তবে আফতাবের সঙ্গে তার প্রেমের কথা জানার পর থেকে বাবার সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয় শ্রদ্ধার। এখন সেই বাবাই মেয়ের দেহের টুকরো খুঁজে বেড়াচ্ছেন জঙ্গলের এদিক-ওদিক। জানাচ্ছেন, শ্রদ্ধার এমন পরিণতি হবে তিনি ভাবতেই পারছেন না।
আরও পড়ুন: মেয়ের দেহের ৩৫ টুকরো করেছে, আফতাবের মৃত্যুদণ্ড চান বাবা
জানা গিয়েছে, আফতাবের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পরেই বাবা-মেয়ের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে কার্যত বাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছিল শ্রদ্ধা। বাবা প্রথম থেকেই ভিন ধর্মের ছেলের সঙ্গে তার মেয়ের সম্পর্ক মানেননি। এদিকে মেয়েও বাবার কথা মানতে নারাজ ছিল। কিন্তু পুলিশ জেনেছে, ফোনে মাঝে মাঝে যোগাযোগ থাকত দু’জনের। শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ জানিয়েছেন, ২০২০ সালে তার সঙ্গে মেয়ের শেষবার দেখা হয়েছিল। সেই সময় আফতাবকে নিয়ে মনোমালিন্য হয়। এরপর শেষ কথা হয়েছিল ৬ মাস আগে। ব্যস। মাঝে আর কিছু জানতে পারেননি তিনি।
বিকাশের কথায়, শ্রদ্ধা একাই একশো ছিল। ব্যক্তিগত জীবন এবং চাকরি জীবন একা সামলে নিত তাই তিনি ভেবেছিলেন সে হয়তো নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে সঠিক ভাবেই বাঁচতে পারবে। কিন্তু পরিণতি যে এমন হবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করা যায়নি। তিনি এখন জানতে পেরেছেন যে তার মেয়ে শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারিত হয়েছিল। কী করে শ্রদ্ধার মতো মেয়ে এতকিছু সহ্য করেও আফতাবের কাছে পড়ে ছিল সেটা ভাবতেই অবাক হচ্ছেন তিনি। তবে এই প্রশ্ন করার জন্য আজ তার মেয়েকেই তিনি পাবেন না। কারণ এই আফতাবই তার মেয়ের দেহ ৩৫ টুকরো করে ছড়িয়েছে।