বোলপুর: বকেয়া মহার্ঘভাতা ইস্যুতে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷আগামী জানুয়ারিতেই ডিএ মিলবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘জানুয়ারি থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হবে৷’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় ১২৫ শতাংশ ডিএ পাবেন কর্মীরা৷ চলিত মাস থেকেই মিলবে নয়া ভাতা৷ তবে, ১২৫ শতাংশ ভাতা ঘোষণা করা হলেও কেন্দ্রের সঙ্গে ফারাক থাকবে ২৩ শতাংশের কাছাকাছি৷ নতুন বছরের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রীর ডিএ ঘোষণা করলেও খুশ নন রাজ্যের কর্মীরা৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা ‘প্রতারণা’ বলেই মনে করেছেন কর্মচারী সংগঠনের একাংশ৷ কিন্তু, কেন?
রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নতুন কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী? গত বছর জুন মাসে জামাই ষষ্ঠীর দিন নবান্নে দাঁড়িয়ে এই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বাস্তব হল, অন্য রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা তিন বছর আগেই অর্থাৎ ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ১২৫ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। বাংলার কর্মীরা তা পাবেন এতোদিন পর। এর থেকে বড় দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে?’’ অন্যদিকে কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এক দিকে ডিএ বকেয়া রেখে দিয়েছেন। অন্যদিকে নিত্য এমন ভাব দেখাচ্ছেন যে সবটা দিয়ে দেওয়া হবে। এটা প্রতারণা ছাড়া আর কী!’’
ডিএ মামলা এখন আদালতের বিচারাধীন। কর্মচারীরা নবান্নের তুলনায় অনেক বেশি আশা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছেন আদালতের দিকে। এছাড়াও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পে কমিশনও তো এখন বিশ বাঁও জলে। সে ব্যাপারটা নিয়ে তো কোনও উচ্চবাচ্যই করছেন না মুখ্যমন্ত্রী বা অর্থমন্ত্রী৷ অভিযোগ সরকারি কর্মচারীদের একাংশের৷