শাম্মী হুদা: ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এককথায় আইএএস, ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন উত্তীর্ণ পড়ুয়াই সেই সম্মানের দাবিদার। এই ইউপিএসসি-তে উতরে যাওয়া প্রায় পাহাড় ডিঙিয়ে যাওয়ার শামিল। নিরলস প্রচেষ্টাতেই যে সাফল্য মুঠোবন্দি হতে পারে। অনেকটা চাঁদ পাওয়ার মতো ব্যাপার আর কি। যাঁরা ইউপিএসসির প্রস্তুতি নিয়ে ভবিষ্যতের আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তাঁরা এই বিষয়টি ভালভাবে বুঝতে পারবেন। নতুন বছর শুরু হয়েছে সামনেই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। পরেপরেই ইউপিএসসি আসছে। কীভাবে পড়লে এই পাহাড় টপকে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছানো যায় তারই উল্লেখযোগ্য টিপস দিলেন ২০১৭-র আইএএস আশুতোষ দ্বিবেদী।
স্কুল জীবনে ভেবেই নিয়েছিলেন যেনতেন প্রকারেণ ইউপিএসসি ক্র্যাক করতে হবে। তাই কীভাবে পড়লে সেই লক্য্কপূরণ হয় তাইই করতেন।প্রথমেই ঠিক করেন এই বিরাট পড়ার চাপ নেওয়ার জন্য মানসিক সুস্থিতি দরকার, নাহলে মনে রাখাটাই দুরূহ হয়ে যাবে। তাই নিয়মিত ধ্যান করতেন, এতে যেমন মনোযোগ বাড়ে,তেমনই মানসিক দৃঢ়তাও বৃদ্ধি পায়। চিন্তা নামক বস্তুটি দূর হলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া অনেক সহজ হয়। এতে করে যদি কেউ শেষ মুহূর্তে গিয়ে আটকেও যান তবে তাঁর গুণগত মান ততদিনে নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। আশুতোষ প্রথম দিকে ইউপিএসসি-র পাশাপাশি অন্যান্য পরীক্ষার প্রস্তুতিও নিতেন। তবে একটা সময় পর শুধু আইএএস হওয়ার স্বপ্নই দেখে গিয়েছেন। আর স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে নিরন্তর পড়াশোনা করেছেন। শুধু নিজের নয়,দাদার স্বপ্ন পূরণের দায়ভারও তাঁর উপরেই ছিল। ২০১৭-তে সেই মাইল ফলক তিনি ছুঁয়ে ফেলেছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রীতিমতো আর্থিক অনটনের বোঝা সামলেই প্রস্তুতি নিয়েছেন আশুতোষ। গেইলে চাকরি করার ফাঁকে ফাঁকে চলত পড়াশোনা। স্ত্রী প্রজ্ঞার অকুণ্ঠ অবদান রয়েছে তাঁর সাফল্যের নেপথ্যে।প্রস্তুতির দিনগুলিতে প্রজ্ঞার সহযোগিতা না পেলে কিছুই করে উঠতে পারতেন না আশুতোষ। ২০১৭-তে পরীক্ষার আগেভাগেই দারুণ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। ১৫ দিন বইখাতা ছুঁতে পারেননি। এরমধ্যে দশদিন বিছানায় শয্যাশায়ী ছিলেন। কীভাবে সামাল দেবেন তানিয়ে নিদারুণ মনোকষ্টে ভুগেছেন। সেই সময় প্রজ্ঞা তাঁর বিছানার পাশে বসে নিরন্তর রিডিং পড়ে গিয়েছেন প্রস্তুতির নোটস। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করেছেন। যাতে শুনে শুনে তাঁর মনে গেঁথে যায়।
প্রস্তুতির সময় ভারতের ইতিহাস জানার জন্য একটি বই পড়তেই হবে,যার নাম ইন্ডিয়াস স্ট্রাগল ফর ইন্ডিপেন্ডেন্স। বইটির সম্পাদনা করেছেন বিপিন চন্দ্র, মৃদুলা মুখার্জি, আদিত্য মুখার্জি, সুচেতা মহাজন, কে এন পানিক্কর। এই বইটি পড়লে ভারতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পর্কে বিশদে জানা যাবে।
মহত্মা গান্ধীর দ্য স্টোরি অফ মাই এক্সপেরিমেন্টস উইথ ট্রুথ বইটিও আবশ্যক। এথিকস সম্পর্কিত যাবতীয় জিজ্ঞাস্যের উত্তর মিলবে এই বইটিতে। এত বই পড়তে পড়তে ক্লান্তি আসবে, তখন মন হালকা করতে হিন্দি নভেলিস্ট শ্রী লাল শুক্লর ‘রাগ দরবারি’ পড়তে পারেন, হতাশা কেটে যাবে। আশুতোষ নিজে তাই করতেন।
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
এতো গেল লিখিত পরীক্ষার কথা, ইন্টারভিউর জন্যেও নিজেকে প্রস্তুত করুন। এই ইন্টারভিউ কিন্তু পরীক্ষার্থীর ব্যক্তিত্বের পরীক্ষা, মোটেও জ্ঞানের পরীক্ষা নয়। তাই ইন্টারভিউর খবর পেয়ে বই খুলে পড়াশোনা শুরু করবেন না। নিজের ব্যক্তিত্বকে ধারাল করুন।মাহেন্দ্রক্ষণ আসার আগের দিন পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসে ঘসামাজা করে ঝা চকচকে করে নিজেকে উপস্থাপিত করুন।
ইউপিএসসির আবেদনপত্র নিজে হাতে ফিলআপ করুন বার কয়েক। এটি আপনাকে ইন্টারভিউ সামলাতে সহযোগিতা করবে। সেই সঙ্গে নিজের পারিপার্শ্বিক সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন। কেননা পরীক্ষার্থীর ব্যক্তি ও সামাজিক পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। এসব ঝালিয়ে নিলে ইন্টারভিউর সময় ভয় পেতে হবে না।
মক ইন্টারভিউর আয়োজন করে উত্তেজনা কাটাতে পারেন। কোনও বন্ধুর সঙ্গে নিয়মিত মক ইন্টারভিউ দিন। দুজন দুজনকে প্রশ্ন করুন উত্তর দিন। পাশাপাশি প্রাসঙ্গিক ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করুন। ইন্টারভিউ কিন্তু কোনও পরীক্ষা নয়, তাই ভয় পাবেন না। মনে করুন এমন পাঁচজনের মুখোমুখি আপনি বসতে চলেছেন যাঁর জ্ঞানে ও অভিজ্ঞতায় বড়মাপের। তাই আলোচনার টেবিলে জেনে ও শিখে বুঝে নিন।এই আত্মবিশ্বাস থাকলে টেবিলের ওপারের মানুষদের নিয়ে অযথা ভয় থাকবে না। ইন্টারভিউর সময় মুখে স্মিত হাসি ধরে রাখুন। গুরুগম্ভীর প্রশ্নও হেসে উত্তর দিন। না জানলে চুপ করে থাকবেন না, দুঃখ প্রকাশ করে নিন। এই বিষয়গুলি মনে রেখে প্রস্তুতি নিন সাফল্য আসবেই।