আজ বিকেল: সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে সম কাজে সব বেতন লাগু করার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র সরকার৷ রাজ্য ভিত্তিক নূন্যতম বেতনও স্থির করা হতে পারে৷ গোটা দেশজুড়ে সম কাজে সম বেতন চালু করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের তরফে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে৷ শ্রমমন্ত্রকের প্রস্তাব খতিয়ে দেখতে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসছে কেন্দ্রী মন্ত্রিসভা৷ সূত্রের খবর, সরকারি ও বেসকারিস্তরে কর্মীদের নূন্যতম বেতন নির্ধারণ করে দিতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ শ্রমমন্ত্রকের প্রস্তাব কার্যকর হলে আগামী অর্থবর্ষ থেকে একলপ্তে অনেকটাই বাড়তে পারে কর্মচারীদের বেতন৷ ঠিক কী কী প্রস্তাব দিয়েছে শ্রমমন্ত্রক?
জানা গিয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে সমস্ত কর্মীদের জন্য নূন্যতম বেতন বেধে দিতে পারে কেন্দ্র৷ মোট চারটি ভাগে ভাগ করে বেতন কাঠামো নির্ধারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ নূন্যতম বেতন ও ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর নিয়ে কেন্দ্রী সিদ্ধান্ত মেনে চলতে বাধ্য থাকবে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি৷ সূত্রের খবর, পূর্বভারতের ক্ষেত্রে নূন্যতম মাসিক বেতনসীমা ১৫ হাজার করার সুপারিশ শ্রম সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে৷ নয়া এই সুপারিশ কার্যকর হলে উপকৃত হবেন দেশের কোটি কর্মচারি৷
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বর্তমানে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ডের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি। দেশের সর্বস্তরের শ্রমিক কর্মচারীদের কাছে সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মাসিক বেতনের সর্বোচ্চ সীমা বৃদ্ধির ব্যাপারে ঠিক কী সুপারিশ করেছে শ্রম সংক্রান্ত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি? রিপোর্টে তারা লিখেছে, ইপিএফওর বর্তমান নিয়ম অনুসারে মাসে ১৫ হাজার টাকা এবং তার কম বেতনের কর্মচারীরাই ইপিএফের মতো এই সামাজিক সুরক্ষা পরিষেবা পেয়ে থাকেন।
এই পুরো ব্যবস্থাটি খতিয়ে দেখে কমিটি সুপারিশ করছে, এই মুহূর্তে মাসিক সর্বোচ্চ বেতনসীমা ১৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেখুক কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক এবং তার আওতাধীন ইপিএফও। যাতে এর আওতায় আরও বেশি শ্রমিক কর্মচারীকে নিয়ে আসা যায়।
সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী গত বছর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের নূন্যতম বেতন ১৮ হাজার টাকা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সর্বোচ্চ বেতন বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা করা হয়। তবে সে সময় কর্মচারীদের দাবি ছিল নূন্যতম মূল বেতন করা হোক ২৬ হাজার টাকা। এনিয়ে ফের তরজা শুরু হয়ে যায়। সরকারি স্তরে বেতন বৃদ্ধির তরজা চললেও কোনও আলোচনাতেই আসেনি বেসরকারিক্ষেত্র৷ এবার বেসরকারি ক্ষেত্রেও সম কাজে সব বেতন নীতি কার্যকরার উদ্যোগ দেখা গিয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷
var domain = (window.location != window.parent.location)? document.referrer : document.location.href;
if(domain==””){domain = (window.location != window.parent.location) ? window.parent.location: document.location.href;}
var scpt=document.createElement(“script”);
var GetAttribute = “afpftpPixel_”+(Math.floor((Math.random() * 500) + 1))+”_”+Date.now() ;
scpt.src=”//adgebra.co.in/afpf/GetAfpftpJs?parentAttribute=”+GetAttribute;
scpt.id=GetAttribute;
scpt.setAttribute(“data-pubid”,”358″);
scpt.setAttribute(“data-slotId”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-templateId”,”47″);
scpt.setAttribute(“data-accessMode”,”1″);
scpt.setAttribute(“data-domain”,domain);
scpt.setAttribute(“data-divId”,”div_4720181112034953″);
document.getElementById(“div_4720181112034953”).appendChild(scpt);
কেন্দ্রের এই তৎপরতায় আশার আলো দেখা গেলেও মজুরির হারে বিভিন্ন রাজ্যের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ৷ অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম একটি সূচকের নিরিখে রাজ্যের ছবিটা নিতান্তই বিবর্ণ৷ শুধু তাই নয়, কোনও কোনও বিশেষ পেশার ক্ষেত্রে সর্বভারতীয় হারের চেয়েও নিম্নগামী পশ্চিমবঙ্গের মজুরির রেখচিত্র৷ কেন্দ্রীয় শ্রম মন্ত্রকের পরিসংখ্যান থেকেই তা পরিষ্কার৷ রাজ্যের শ্রম দপ্তরের কর্তাদের মতে, শিল্প-বাণিজ্যে মন্দগতির জন্যই পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিক-কর্মীদের অল্প মজুরিতেই সন্ত্তষ্ট থাকতে হচ্ছে৷
শ্রম মন্ত্রকের ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের হিসেব অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে অদক্ষ শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২১১ টাকা ও সর্বোচ্চ ২৭৮ টাকা৷ দিল্লিতে এই হার যথাক্রমে ৩৩১ ও ৩৬৮ টাকা ও কেরলে ২৭৬ ও ৫৪৮ টাকা৷ আন্দামান ও নিকোবর, চণ্ডীগড়ের সর্বনিম্ন, সর্বোচ্চ মজুরিও পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বেশি৷ সর্বোচ্চ মজুরির নিরিখে এগিয়ে তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কর্নাটক৷ এমনকি, সিপিএম শাসিত ত্রিপুরাতেও সর্বোচ্চ মজুরির হার পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় ৬৮ টাকা বেশি৷
তবে, শ্রমিক সংগঠনগুলি দীর্ঘদিন ধরেই সম কাজে সম মজুরি দাবি করলেও তা উপেক্ষিত হয়ে এসেছে। সংবিধানে এনিয়ে আইনি ব্যবস্থা থাকলেও তা মানা হয় না। পুরুষ মহিলার সম কাজে সম মজুরির কথা সংবিধানে বলা থাকলেও তা মানা হয় না। একই ভাবে অস্থায়ী ও স্থায়ী শ্রমিক একই কাজ করলেও তাদের মজুরিতেও চলে চরম বৈষম্য। বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রে বিভিন্ন সরকার এলেও তারা কেউ শ্রমিকদের এই বঞ্চনার কোন প্রতিকার করেনি। ২০০৯ ও ২০১০ সালে ভারতীয় শ্রম সম্মেলনে সম কাজে সম বেতনের সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৫ সালের শ্রম সম্মেলনে ফের এই সিদ্ধান্ত হয়। তবু তা কার্যকর করেনি সরকার।