নয়াদিল্লি: লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। তা মাথায় রেখেই ইপিএফের সুদের হার আর ন্যূনতম মাসিক পেনশনের পরিমাণ বাড়ানোর ভাবনা চিন্তা করছে সরকার। এবারের বাজেটেই ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন বৃদ্ধি নিয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রক সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
সরকারি সূত্রের খবর, ইপিএফের ন্যূনতম মাসিক পেনশন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষকুমার গঙ্গওয়ার যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছিলেন, চলতি মাসেই সেই কমিটি রিপোর্ট পেশ করতে চলেছে। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরেই এক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতাধীন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (ইপিএফও)। একই সঙ্গে ইপিএফের সুদের হার বৃদ্ধিরও বড় সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৭-১৮ বছরে ইপিএফে সুদের হার ছিল গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। হার ছিল মাত্র ৮.৫৫ শতাংশ। গত কয়েক বছর ধরেই ওই হার কমানো হচ্ছিল। এই মুহূর্তে পিপিএফ এবং এনএসসি-তে সুদের হার মাত্র ৭.৭ শতাংশ। তাই ইপিএফের সুদের হার আরও কমতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে একটা ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু মোদি সরকার ভোটের বছরে সেই কঠিন পথে হাঁটতে চাইছে না বলেই সূত্রের খবর। ইপিএফও-এর সেন্ট্রাল বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রভাকর বানসারে বলেছেন, এই সুদের হার কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।