নয়াদিল্লি: সে যে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করেছে তা মৌখিকভাবে স্বীকার করেছে নিয়েছে। তবে আফতাবের বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। কারণ শ্রদ্ধার দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না এখনও। এই অবস্থায় আফতাবকে পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু তা করা যায়নি। পরে ভার্চুয়াল শুনানি হয়েছে তার। আদালতের নির্দেশে আরও ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে থাকবে সে।
আরও পড়ুন- বাইক চালাতে চালাতেই গোপনাঙ্গে হাত! ব়্যাপিডো চালকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের মডেলের
দিল্লির আদালতে এদিন আফতাবকে সশরীরে হাজিরার জন্য নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু আদালতের বাইরের চত্বরে আফতাবের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কয়েকজন আইনজীবী। স্লোগান তুলতে শুরু করেন, ‘ফাঁসি চাই, জেহাদির ফাঁসি চাই’। এই কারণে আফতাবকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ানো যায়নি তাই ভার্চুয়াল শুনানি হয় তার। পুলিশের তরফে আদালতকে জানানো হয়, গত ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতে অভিযুক্তের কাছ থেকে খুনের বিষয়ে বহু নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তাই তাঁকে আরও জেরা করার প্রয়োজন। তাদের দাবি আদালতে মঞ্জুর হয়েছে।
পুলিশ আগেই জানিয়েছে যে আফতাব জেরায় স্বীকার করেছে, ১৮ মে রাতে শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর তুমুল ঝগড়া হয়েছিল। এর আগেও বহুবার ঝগড়া হয়েছিল। কিন্তু, সেদিন পরিস্থিতি সীমারেখা অতিক্রম করেছিল। তাঁদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়েছিল। আফতাব বলেন, এরপরই আমি শ্রদ্ধাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিই। ওঁর বুকের উপর বসে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করি।