নয়াদিল্লি: প্রেমিকাকে খুন করার পর ৩৫ টুকরো করেছে সে। জঙ্গলে ১৮ দিন ধরে সেই টুকরো ছড়িয়ে এসেছে। নৃশংস ঘটনা ঘটানোর পরের অন্তত ৬ মাস স্বাভাবিক ছিল আফতাব। অনুশোচনা তো দূর, তাকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে সে এত বড় কাণ্ড করতে পারে। এমনকি ভয়ানক কাজের পরে অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গেও যৌনতায় লিপ্ত হয়েছে সে। শ্রদ্ধা ওয়াকার খুনে এতকিছু তথ্য জানার পরেও আফতাবকে ‘থার্ড ডিগ্রি’ দিতে পারবে না পুলিশ। এমনকি কোনও ভাবেই তার সঙ্গে জোর-জবরদস্তি করা যাবে না! কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন- বাইক চালাতে চালাতেই গোপনাঙ্গে হাত! ব়্যাপিডো চালকের বিরুদ্ধে FIR দায়ের মডেলের
দিল্লির এক আদালতের নির্দেশ শ্রদ্ধা খুনে অভিযুক্ত আফতাবের বিরুদ্ধে কোনও রকম ‘জুলুম’ করা যাবে না। আগামী ৫ দিনের মধ্যেই তার ‘নারকো টেস্ট’ হবে। তার আগে পুলিশকে তার সঙ্গে সংযত ব্যবহার করতে হবে। বিষয় হল, এমন এক ঘটনায় অভিযুক্তকে সামনে পেলে যে কারোর মাথা ঠিক রাখা অসম্ভবের সমান। কিন্তু আফতাবের সঙ্গে তেমন কিছুই করা যাবে না কারণ ইতিমধ্যেই সে একাধিকবার নিজের বয়ান বদল করেছে, পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তাই এই অবস্থায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ‘নারকো টেস্ট’ করার আগে তার সঙ্গে যেন ‘ভালো’ আচরণ করা হয়। ঠিক ভাবে এই পরীক্ষা হলে আরও পোক্ত তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আসলে আফতাবের বিরুদ্ধে পোক্ত প্রমাণ জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। কারণ শ্রদ্ধার দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না এখনও। আফতাব নিজে খুনের কথা স্বীকার করলেও খুন করার অস্ত্র এবং শ্রদ্ধার শরীরের বাকি টুকরোর হদিশ মেলা দুষ্কর হয়ে উঠেছে। এদিকে বয়ান বারবার বদলের কারণে আফতাবকে নিয়ে ধন্দে পড়ছে পুলিশও। তাই মূল তথ্য পেতে এখন সমঝে-বুঝে চলার পথেই হাঁটছে পুলিশ।