নয়াদিল্লি: উচ্চবর্ণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার চাকরি, শিক্ষায় ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের সংসদে পাশ হয়েছে নয়া বিল। কিন্তু, বাস্তবে এই সংরক্ষণে আদৌ কী লাভ হবে? সংশয় বাড়িয়েছে খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ নীতি। গত কয়েক বছর ধরেই কেন্দ্রের দপ্তরগুলিতে কর্মী নিয়োগ একপ্রকার তলানিতে। ফলে, বড় মুখ করে সংরক্ষণের কথা বলুন না কেন, সরকারি চাকরিতে উচ্চবর্ণের গরিব মেধাবীদের সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়া আদতে সোনার পাথরবাটি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এই মুহূর্তে ওবিসিদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে ২৭ শতাংশ সংরক্ষণ চালুকে কেন্দ্র করে দেশে আগুন জ্বললেও বাস্তবে দেখা যায়, নতুন নিয়োগে একপ্রকার নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে আছে। মোট কর্মীর বড় জোর এক শতাংশ কিংবা প্রতি বছর যত কর্মচারী অবসর নেন, তার তিন শতাংশ সংখ্যক পদে নিয়োগের অনুমতি আছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলির। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ১০ শতাংশ হারে কর্মী কমিয়ে আনা সরকারের উদ্দেশ্য বলে সপ্তম বেতন কমিশনকে জানিয়েছিল কেন্দ্র। একান্ত জরুরি পরিস্থিতিতে চুক্তিতে লোক নিয়ে কাজ চালাচ্ছে বিভিন্ন অফিস। সরকারি সূত্রের খবর, সেই ধারা অব্যাহত। কর্মীর সংখ্যা আরও কমে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের বহু অফিসই এখন চুক্তিভিত্তিক কর্মী প্রায় ৫০ শতাংশ, যাদের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ বিধি কার্যকর নয়। শিক্ষার ক্ষেত্রে অবশ্য ছবিটা অন্য। উচ্চশিক্ষায় ওবিসি সংরক্ষণ চালুর সময় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন বৃদ্ধি করে নেওয়া হয়েছিল যাতে সাধারণ ক্যাটিগরির ছাত্রছাত্রীরা ভর্তিতে বঞ্চিত না হন৷ কিন্তু সরকারি কর্মী নিয়োগে কেন্দ্র হাঁটছে সম্পূর্ণ উল্টো দিকে। অবশ্য ব্যতিক্রম রয়েছে। পুলিশ ও আধাসেনা নিয়োগে অনেকটাই উপুড়হস্ত কেন্দ্র। ওই ধরনের চাকরির জন্য অধিকাংশ শিক্ষিত যুবক-যুবতী যদিও বিবেচিত হন না। রেলেও কেন্দ্রের মোট কর্মীর ৫৭ শতাংশ ছিল, এখন তা ৪০ শতাংশ হয়েছে।