শাড়ি পরেই পুত্রবধূর সঙ্গে জিমে ওয়ার্কআউট শাশুড়ির, কুর্নিশ নেটেজেনদের

শাড়ি পরেই পুত্রবধূর সঙ্গে জিমে ওয়ার্কআউট শাশুড়ির, কুর্নিশ নেটেজেনদের

চেন্নাই:  ইচ্ছাশক্তিটাই আসল মন্ত্র৷ বয়স তো শুধু একটা সংখ্যা মাত্র৷ সে কথা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন ৫৬ বছরের শাশুড়ি মা৷ তিনি বুঝিয়ে দিলেন শেখার কোনও বয়স হয় না৷ 

আরও পড়ুন- গাঁজা খেয়ে শ্রদ্ধার কাটা মাথা পুকুরের জলে ফেলে এসেছিল আফতাব!

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে৷ যেখানে শাড়ি পরে জিমে ওয়ার্কআউট করতে দেখা গিয়েছে বছর ৫৬-র ওই মহিলাকে৷ তবে এই গল্পে আরও একটি টুইস্ট রয়েছে৷ তিনি একা নন৷ বৌমার সঙ্গে রোজ জিমে আসেন তিনি৷ তার পর একসঙ্গে কোমর বেঁধে করেন ওয়ার্কআউট৷ যেমন তেমন ওয়ার্কআউট নয়৷ রীতিমতো ওয়েট লিফ্টিং করেন ওই মহিলা। জীবনে একাধিক চ্যালেঞ্জ এসেছে৷ তার মাঝেই এভাবে নিজেকে ফিট থাকার মন্ত্রে দীক্ষিত করার গল্পটি নিশ্চিত ভাবেই একটা অনুপ্রেরণা৷ নিজের জীবনের এই অধ্যায়ের কথা সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তিনি নিজেই। 

ইনস্টাগ্রামে ‘হিউম্যানস অফ ম্যাড্রাস’ নামক একটি পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। ওই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে,  ওই মহিলার সঙ্গে ওয়ার্ক আউট করছেন তাঁর পুত্রবধূও৷ জানা গিয়েছে, ৫৬ বছর বয়সী ওই মহিলা গত চার বছর ধরে জিমে ঘাম ঝরাচ্ছেন৷  তাঁর হাঁটুতে অনেক দিন ধরেই ব্যথা হচ্ছিল। ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী ভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে? ছেলে তাঁকে প্রতিদিন ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন৷ সেটাই ছিল মোটিভেশন৷ এর পরেই জিমে নাম লেখান তিনি৷ তখন তাঁর বয়স ছিল ৫২৷ 

না, হালকা-পুলকা এক্সারসাইজ নয়, শুরু করেন পাওয়ারলিফ্ট, স্কোয়াট৷ তাঁর জিম যাত্রার সঙ্গী এবং নিত্যদিন ব্যায়ামে সঙ্গত দিয়ে এসেছেন তাঁর পুত্রবধূ। বলে রাখা ভালো, এই জিমটির মালিক তাঁরই পুত্র। তবে এই ভিডিয়োটিতে যে বিষয়টা সকলের নজর কেড়েছে, তা হল ওই মহিলার পোশাক৷ কারণ, জিমের উপযুক্ত কোনও পোশাক নয়, রীতিমতো শাড়ি পরেই জিম করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে৷ 

ওই ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘‘ওই মহিলার বয়স ৫৬ বছর। কিন্তু তাতে কী? তিনি শাড়ি পরেই পাওয়ারলিফ্ট করেন, পুশআপও দেন। বয়স কেবলই একটা সংখ্যা- এই ভিডিয়ো যেন সেটাই প্রমাণ করল৷ প্রমাণ করলেন এক শাশুড়ি, কী ভাবে সর্বক্ষণ তাঁর পুত্রবধূর সাহায্য পেলেন। একে কী একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা বলে না?”

এই ভিডিয়োটি এক মিলিয়নেরও বেশি ভিউ হয়েছে৷ এই ভিডিয়োটি দেখে অনুপ্রাণিত নেটিজেনরা। সেই প্রমাণ মিলেছে ভিডিয়োর কমেন্ট বক্সে একজন ইউজার লিখেছেন, “এর থেকে বড় অনুপ্রেরণা আর কাই বা হতে পারে। প্রতিটা মহিলার বাঁধাধরা ছক ভেঙে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই তো বলা হয়, কখনও কোনও বইকে তার মলাট দেখে বিচার করবেন না।”