সস্তায় শিক্ষক ‘উৎপাদন’! প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক হবু শিক্ষকদের

কলকাতা: স্কুলে শিক্ষকের অভাব মেটাতে নয়া ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সুন্দরবন, ডুয়ার্স, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে সদ্য স্নাতক পড়ুয়াদের জন্য স্কুলে দু’বছরের ইন্টার্ন নিয়োগের ভাবনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া শুরু হয়েছে ‘যুদ্ধ’৷ কমেন্টের বন্যা৷ রাজ্যের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বড়সড় আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন চাকরি-প্রার্থীদের একাংশ৷ মুখ্যমন্ত্রী

সস্তায় শিক্ষক ‘উৎপাদন’! প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক হবু শিক্ষকদের

কলকাতা: স্কুলে শিক্ষকের অভাব মেটাতে নয়া ঘোষণা করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সুন্দরবন, ডুয়ার্স, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে সদ্য স্নাতক পড়ুয়াদের জন্য স্কুলে দু’বছরের ইন্টার্ন নিয়োগের ভাবনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া শুরু হয়েছে ‘যুদ্ধ’৷ কমেন্টের বন্যা৷ রাজ্যের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বড়সড় আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন চাকরি-প্রার্থীদের একাংশ৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সরকার বদলেও দাবি উঠতে শুরু করেছে৷ রাজ্যে এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে প্রশিক্ষণরত শিক্ষক চাকরিপ্রার্থীরা চূড়ান্ত সমস্যা পড়বেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা যাতে কার্যকর করা না হয় তার দাবি জানিয়ে শীঘ্রই শহরের রাজপথে ছাত্রবিক্ষোভের ডাকও দেওয়া হয়েছে৷ আন্দোলন প্রসঙ্গে চাকরিপ্রার্থী ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘এক লক্ষের বেশি শিক্ষকের শূন্যপদ৷ গত ৪ বছর ধরে নিয়োগ নেই৷ বিএড ও ডিইএলএড পাস করা যুবক যুবতীর সংখ্যা দু’লক্ষের বেশি। তাঁদের নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার৷ আবার নূতন ঢপ ইন্টারশিপ৷ এই ঢপবাজদের বাংলা থেকে না তাড়ালে যুবদের কোন চাকরি হবে না৷’’

চাকরিপ্রার্থী জয়দীপ দত্ত বলেন, ‘‘আজ এই দিনটি এসএসসির ইতিহাসে কালোদিন৷ সরকারকে বলছি মামলার জন্য প্রস্তুত থাকুন৷’’ রাজ্য সরকারের নয়া ভাবনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের গড়ে তোলা যায় কী না, তা নিয়েও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জনমত চাওয়া হয়েছে৷ স্কুলে দু’বছরের ইন্টার্ন নিয়োগের প্রসঙ্গে অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলছে, ‘‘পুলিশের বদলে সিভিক৷ এখন শিক্ষকের বদলে সিভিক টিচার নিয়োগ করবে রাজ্য৷’’ সোশ্যাল মিডিয়ায় চাকরি-প্রার্থীদের দাবি, ‘‘হাজার হাজার টাকা ও তিন বছরের প্রশিক্ষণ নিয়ে কী লাভ৷ স্কুলে যখন দু’আড়াই হাজারের শিক্ষক উৎপাদনের ব্যবস্থা হচ্ছে, তখন খামখা বিএড, ডিএড করে কী হবে৷’’

চাকরি-প্রার্থীদের আশঙ্কা, নয়া এই ব্যবস্থা চালু হলে শিক্ষক নিয়োগের জটিলতা আরও বাড়বে৷ কারণ, দু’বছরের ইন্টার্নশিপ করা প্রার্থীরাও পরবর্তী সময়ে স্থায়ী চাকরি দাবি জানাবেন৷ তখন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পড়ুয়ারাও কোথায় যাবেন৷ তাঁদের আশঙ্কা, এমনিতেই রাজ্যের ছ’বছর বন্ধ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ সেই সময়ে দাঁড়িয়ে এই ইন্টার্নশিপ ব্যবস্থা স্কুলে শিক্ষকের অভাব মেটালেও বাড়াবে স্থায়ী চাকরির সমস্যা৷

দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগ বন্ধ থাকায় চূড়ান্ত উৎকণ্ঠায় রয়েছেন রাজ্যের কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী৷ নিয়োগে দুর্নীতি ও মামলা জেরে ঝুলেই রয়েছে কয়েক হাজার চাকরি-প্রার্থীর ভাগ্য৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নিয়োগের পরিবর্তে ইন্টার্ন নিয়োগের ভাবনায় রাজ্যজুড়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + 10 =