সংবিধান: ৭২টি বসন্ত পেরিয়ে আজও প্রাসঙ্গিক ধর্মনিরপেক্ষতা?

শাম্মী হুদা: ৭২ বছর আগে জানুয়ারির এই সপ্তাতেই ২৮৪জন নির্বাচিত সাংসদ হাতে লেখা সংবিধানের মান্যতা দিয়েছিলেন। তাঁরা আশা করেছিলেন এই সংবিধান ভবিষ্যতের ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। সেই ধারণা কতটা সর্বজন গ্রাহ্য ছিল বড় কথা নয়, ভাবনার বিষয় হল সংবিধান প্রণেতারা কী বাস্তবায়িত করতে এর উপস্থাপনা করেছিলেন আর এখন মনে গত পাঁচ বছরে কি ঘটছে। বদলে

সংবিধান: ৭২টি বসন্ত পেরিয়ে আজও প্রাসঙ্গিক ধর্মনিরপেক্ষতা?

শাম্মী হুদা: ৭২ বছর আগে জানুয়ারির এই সপ্তাতেই ২৮৪জন নির্বাচিত সাংসদ হাতে লেখা সংবিধানের মান্যতা দিয়েছিলেন। তাঁরা আশা করেছিলেন এই সংবিধান ভবিষ্যতের ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। সেই ধারণা কতটা সর্বজন গ্রাহ্য ছিল বড় কথা নয়, ভাবনার বিষয় হল সংবিধান প্রণেতারা কী বাস্তবায়িত করতে এর উপস্থাপনা করেছিলেন আর এখন মনে গত পাঁচ বছরে কি ঘটছে।

সংবিধান: ৭২টি বসন্ত পেরিয়ে আজও প্রাসঙ্গিক ধর্মনিরপেক্ষতা?বদলে যাওয়া ছবিটা স্পষ্ট, এখন প্রাইম টাইমে জনপ্রিয় সংবাদের চ্যানেল খুললেই দেখবেন প্রজাতান্ত্রিক ভারতের পুরোধাদের নিয়ে নিরন্তর কাঁটা ছেড়া চলছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বদান্যতায় প্রতিদিন হাস্যকর অবস্থানের দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে সাধের ধর্মনিরপেক্ষতা। সংবিধানের প্রিয়াম্বেলকে নিরন্তর অগ্রাহ্য করা হচ্ছে, সেই সঙ্গে জাতির জনক থেকে শুরু করে সমসাময়িক হেভিওয়েট নেতৃত্বের বাপবাপান্ত করতেও বাকি রাখছে না।

সংবিধান: ৭২টি বসন্ত পেরিয়ে আজও প্রাসঙ্গিক ধর্মনিরপেক্ষতা?দেশে কোনও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হলেই চ্যানেল কর্তারা টিআরপি ধরে রাখতে সো কোল্ড নেতাদের স্টুডিওতে আলোচনা তরজা, যার শেষের শুরু আর শুরুর শেষ খুঁজতে যাওয়া নিতান্তই খরের গাদায় সুঁচের অনুসন্ধানের শামিল। ফিরে আসি সংবিধান প্রসঙ্গে, ধর্ম নিরপেক্ষতা কে মূল ধরে এগোনোর কারণটাই হল বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য।

সংবিধান: ৭২টি বসন্ত পেরিয়ে আজও প্রাসঙ্গিক ধর্মনিরপেক্ষতা?বহু ভাষাভাষি ধর্মের দেশ ভারতে দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রচার করা সম্ভব নয়। তাই সেক্যুলার শব্দের অবতারণা। মূলত মুসলিম সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু রা যাতে নিজেদের অবস্থান গত বাস্তবতা বুঝতে পারে। তাই তো বাবা সাহেব আম্বেদকর সংবিধানের রচনার সময় এই দিক গুলির কথা মাথায় রেখেছেন। এবার সেই সংবিধানেই পরিবর্তন আনতে চাইছে দেশের সরকার, এমনটাই বিরোধীদের অভিযোগ। গোটা ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি সঙ্ঘ পরিবারও উল্লেখনীয় ভূমিকা নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *