কলকাতা: তালিকায় থাকলেও বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ডিএ মামলার শুনানি হল না৷ সরকারি ‘রিভিউ পিটিশন’-এর উপর শুনানি নিয়ে সরকারি কর্মী মহলে কৌতূহল থাকলেও বাদী বা বিবাদী পক্ষের প্রধান আইনজীবীদের কেউই এদিন এজলাসে হাজির হননি৷ ফলে ১৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী দিন ঘোষিত হয়েছে৷
বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সরকারপক্ষের উদ্দেশে বলেছে, এমন আবেদনে বিচারের সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। হাইকোর্টের দেওয়া আগের রায়ে সত্যিই কোনও ভুল রয়েছে কি না, তা সরকারকেই দেখাতে হবে। উল্লেখ্য, স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালকে হাইকোর্ট নতুন করে ডিএ বিতর্কে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল। কারণ, ট্রাইব্যুনাল আগে বলেছিল, ডিএ প্রাপ্তি কর্মীদের অধিকার নয়। এই অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশমাফিক শুনানি শেষ হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। ২৪ জানুয়ারি সেখানে মামলার পরবর্তী তারিখ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাইকোর্টে দায়ের হওয়া নয়া আবেদনের নিষ্পত্তি যদি এর মধ্যে হয়ে যায়, তাহলে ২৪ তারিখেই ট্রাইব্যুনাল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে৷
গত বছরের ৬ ডিসেম্বর স্যাটে ডিএ মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিলের জেরে পিছিয়ে দেওয়া হয় মামলার শুনানি৷ এরপর রাজ্য সরকারকে ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টের আদেশনামার কপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় স্যাট৷ জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্য সরকার হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন করেছে। তাই আপাতত স্যাটের পক্ষে এখন রায়দান সম্ভব নয়৷ ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়৷ আজ, বুধবার মামলার শুনানি না হওয়ায় ২৪ জানুয়ারি স্যাটের শুনানি নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে৷
গত ৩১ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্টে ডিএ মামলায় ধাক্কায় খায় রাজ্য সরকার৷ আদালত জানিয়ে দেয়, ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সাংবিধানিক অধিকার৷ কিন্তু এরপরেই, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই ডিএ মামলা যায় স্যাটে৷ ডিএর হার কী হবে? বছরে কতবার ডিএ দেওয়া হবে তা নির্ধারিত হওয়ার কথা ছিল স্যাটে৷ কিন্তু, সেই মামলায় হলফনামাই জমা করে না রাজ্য সরকার উল্টে শুনানির দিন দাবি করে৷ স্যাটের বিচারপতিরা সেই দাবি উড়িয়ে দিলে বিনা হলফনামাতেই শুরু হয় শুনানি৷ পরে, কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়৷ আর তাতেই বাড়ে জটিলতা৷