একেই বলে বাবা! স্কুটার যাত্রায় ছেলেকে ‘আগলে’ ভাইরাল ‘সুপার ড্যাড’

একেই বলে বাবা! স্কুটার যাত্রায় ছেলেকে ‘আগলে’ ভাইরাল ‘সুপার ড্যাড’

কলকাতা:  সোশ্যাল মিডিয়া দৌলতে প্রতিদিন ভাইরাল হয় নানান ঘটনা৷ কখনও রঙ্গরসিকতা, কখনও আবেগ, কখনও আবার প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা৷ সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমন একটি ছবি, যা আরও একবার প্রমাণ করে দেয়, সত্যিই বাবা আমাদের মাথায় উপর এক দৃঢ় আশ্রয়৷ জীবনের এক শক্ত খুঁটি৷  আর প্রতিটি সন্তানের কাছে তাঁর বাবাই তো সুপারহিরো। অফিসের চাপ, সংসারের হাজারো দায়িত্ব সামলেও সন্তানের প্রতি কর্তব্যে অবিচল থাকেন একজন বাবা। সন্তানকে দুধেভাতে রাখতে নিজের জীবনকে বাজি রাখতেও দ্বিধা করেন না তাঁরা। সন্তানের মন ভালো করার চাবিকাঠি যেন তাঁর পকেটেই পোড়া। 

আরও পড়ুন- তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র গ্রেফতার, টুইট করে রাজনৈতিক হিংসার কথা বললেন ডেরেক

HT City নামক প্রোফাইল থেকে একটি ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, রাস্তা দিয়ে একটি স্কুটার ছুটে চলেছে৷ স্কুটারটি চালাচ্ছেন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি৷  স্কুটারের পিছনের আসনে বসে রয়েছে একটি খুদে। বসে বললে ভুল বলা হবে৷ কারণ স্কুটারের পিছনে বসে রীতিমতো ঘুমে ঢুলছিল সে। চলন্ত গাড়িতে এভাবে ঘুমিয়ে পড়লে যখন তখন বিপদ ঘটতে পারে৷ আর সেটা এই ভিডিয়ো দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। আর এই অবস্থায় শিশুটিকে সুরক্ষিত রাখতে তৎপর হয়ে ওঠে চালক।

যিনি এই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন, তাঁর দাবি, ওই স্কুটার চালক ওই শিশুটির বাবা। শিশুটি যাতে পড়ে না যায়, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যান তিনি৷ এক হাত দিয়ে স্কুটারের হাতল ধরেই গাড়ি চালাতে থাকেন৷ অন্য হাত পিছনে ঘুরিয়ে আগলে ধরে রাখেন সন্তানকে। যাতে কোনও ভাবেই সে ঢুলে পরতে না পারে। স্কুটারের গতিও মন্থর করে দেন। তিনি যে কোনও মতেই ঝুঁকি নিতে নারাজ। 

ভিডিয়োটি নেটপাড়ায় ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা ‘বাবা’র প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনেকে আবার উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তাঁরা বলছেন, এই ব্যক্তির প্রচেষ্টা খুবই ভালো। কিন্তু এভাবে গাড়ি চালানোও কম ঝুঁকির নয়। বিপদ পদে পদে। অনেকে আবার ফিরে গিয়েছেন ছেলেবেলার স্মৃতিতে। তাঁদের মনে পড়ে গিয়েছে, কী ভাবে তাঁদের বাবারাও এভাবে তাঁদের আগলে রাখতেন। 

এই ঘটনাটি চণ্ডীগড়ের। স্কুটারের নম্বর প্লেট থেকে তে বোঝা গিয়েছে। কিন্তু তিনি যে ভাবে স্কুটার চালাচ্ছিলেন, তাতে বিপদ যে সঙ্গে চলছিল তাঁর।তবে আদরের সন্তানকে পড়তে দেবে কে। বাবা আছেন যেখানে, সেখানে ভয় কীসের? নিজের বাঁ হাত দিয়ে চেপে ধরেই পৌঁছলেন গন্তব্যে।