জয়পুর: রাজস্থানের অজমেঢ়ে মইনুদ্দিন চিস্তি দরগায় পৌঁছলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ দরগায় চাদর চড়ান তিনি৷ দরগায় প্রবেশ করতেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এদিকে মুখ্যন্ত্রীর এক ঝলক পেতে তখন ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁকে দেখেই ওঠে দিদি দিদি রব৷ কড়া নিরাপত্তা দিয়ে তাঁকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। মাথা শাড়ির আঁচল দিয়ে ঢেকে দরগার ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি।
জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে সোমবার দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল দিল্লিতে বৈঠকের পর আজ রাজস্থানের আজমেঢ় শরিফে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর সফর নিরাপদ করতে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল দরগা৷ আজ যখন তিনি দরগায় ঢুকলেন, দুপুরের মিঠে রোদ উঠেছে৷ দরগার উঠোনে বসে একদল কাওয়ালি সুফি গাইছেন৷ দরগায় ঢোকার মুখেই রয়েছে সারি সারি গোলাপ ও ফুলের দোকান। সেখান থেকে আগে থেকেই গোলাপ আর সুদৃশ্য নকশা করা চাদর আনা হয়েছিল। সেই চাদর খওয়াজা বাবার দরগায় চাপান তিনি৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এখন থেকে তিনি যাবেন পুস্কর৷
দিল্লি থেকে হঠাৎ কেন আজমেঢ়-পুষ্কর সফরে গেলেন দিদি? এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি নিজে আজমেঢ়-পুষ্কর রেলপথের অনুমোদন দিয়েছিলেন। সেই সময় রেলের এক শ্রেণির আধিকারিকরা বলেছিলেন, এভাবে আজমেঢ়ের জন্য রেললাইন পাতা হলে, বিষয়টা কি সাম্প্রদায়িক হয়ে যাবে না? জবাবে তিনি বলেছিলেন, অন্যদিকে পুষ্করও তো রয়েছে। এই রেলপথ বরং সম্প্রীতির কথা বলবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “এর পর থেকে আজমেঢ় শরিফের তরফে বহুবার আমন্ত্রণ পেয়েছি। কিন্তু যাওয়া হয়নি। এবার দিল্লি সফরের মধ্যে সময় করেই চলে যাব।”
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>