কলকাতা: দীর্ঘ জট কাটিয়ে সদ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ কিন্তু, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই মামলার জটে অস্বস্তি পড়লেন কমিশনের শীর্ষ কর্তারা৷ মামলার শুনানির নোটিস পেয়েও এজলাসে হাজির না থাকায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারপার্সন ও সেক্রেটারির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ‘রুল’ জারি করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা৷ আগামী ২৮ জানুয়ারি এই অনুপস্থিতির কারণ তাঁদের ব্যাখ্যা করতে হবে বলে আদালত সূত্রে খবর৷
শিক্ষক নিয়োগে নতুন করে মামলার জেরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার গতি নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে চাকরিপ্রার্থীদের অন্দরে৷ মামলা জটে নিয়োগ থমকে যাবে না তো? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে চাকরিপ্রার্থীদের অন্দরে৷ কিন্তু, হঠাৎ কেন কমিশনের কর্তাদের তলব করল আদালত?
আদালত সূত্রে খবর, নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের জন্য এসএলএসটি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে। পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে। মণিকা রায় ও অন্যান্য মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন, কমিশনের নির্দিষ্ট আইন অনুযায়ী সফল পরীক্ষার্থীদের প্রথমে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়৷ তার ভিত্তিতে প্রকাশ করা হয় মেধা তালিকা। পরে সেখান থেকে তৈরি হয় প্যানেল। কিন্তু, মেধা তালিকা প্রকাশ না করেই প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। সেইসূত্রে মামলাকারীরা রয়েছেন ওয়েটিং লিস্টে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে গত আগস্টে আদালত ওই অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে কমিশনকে নির্দেশ দেয়, পরবর্তী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে৷ অভিযোগ, সেই নির্দেশ পালিত না হওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়৷ বিচারপতি মান্থা এই মামলার নোটিস কমিশনের ওই দুই আধিকারিককে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷ আইনজীবীদের তরফে আদালতকে জানান, আদলতের নির্দেশ মেনে কমিশনকে নোটিস পাঠানো হলেও অজ্ঞাত কারণে কমিশন শুনানিতে হাজির হননি৷ কমিশনের অনুপস্থিতির কারণে কমিশনের কর্তাদের তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷
হাইকোর্টের এই নির্দেশ জারি হতেই চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের মধ্যে উৎকণ্ঠা বেড়ে গিয়েছে৷ কারণ, সামনেই নির্বাচন৷ নির্বাচনের আগে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক ফাইল রয়েছে কমিশনের হাতে৷ সামনেই উচ্চ প্রথমিকের নিয়োগ হওয়ার কথা৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে নতুন করে আইনি জট কাটিয়ে আদৌ শিক্ষক নিয়োগে গতি বাড়াতে পারবে কমিশন? প্রশ্ন তুলছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷