ভুবনেশ্বর: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত ঘূর্ণিঝড় ‘মনদৌস’ বাংলার কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে ভয়ে কাঁপতে শুরু করেছে তিন রাজ্য। তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও দক্ষিণ অন্ধ্র উপকূল, এই তিন জায়গায় এই ঘূর্ণিঝড়ের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেমন হতে পারে সেই ভেবেই আতঙ্কিত রাজ্যের মানুষ।
আরও পড়ুন- হ্যাপি বার্থ ডে গোবরডাঙা স্টেশন! রাত ১২টায় কেক কেটে হল ১৪০তম জন্মদিন পালন
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাত ও শনিবার ভোররাতের মধ্যে পুদুচেরি ও শ্রীহরিকোটার মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করে মহাবলিপুরমের কাছে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬৫ থেকে ৮৫ কিমি। ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলির একাধিক জায়গায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও আবহাওয়া দফতরের দাবি, বৃহস্পতিবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও এই মুহূর্তে শক্তি হারিয়ে কেবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘মনদৌস’। কিন্তু তাতে প্রভাব সামান্য হলে কমতে পারে পুরোটা নয়। জানান হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, করাইকাল, অন্ধ্রপ্রদেশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। তাই শনিবার রাজ্যগুলিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড় ‘মনদৌস’-এর প্রভাব কাটতেই বাংলায় জাঁকিয়ে শীত পড়বে বলেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। উত্তুরে হাওয়ার পথ প্রশস্ত হলে বড়দিনের আগেই চুটিয়ে শীত উপভোগ করবে রাজ্যবাসী। কিন্তু তার আগে এই তিন রাজ্যের পরিস্থিতি কী দাঁড়ায় তা নিয়ে চিন্তায় সকলেই। কামনা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যেন তেমন কোনও প্রভাব না ফেলতে পারে।