আজ বিকেল: বেকারত্বের মাঝে আশা র খবর শুনিয়ে দিল এমপ্লয়িজ প্রফিডেন্ড ফান্ড অর্গানাইজেশন। গত এক বছরে চাকরি ক্ষেত্রে নিয়োগের সংখ্যা বেড়েছে, শতাংশের হারে তা ৪৮%। এর জেরে গত ১৫ মাসে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ নতুন চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তাই কর্ম সংস্থান সংক্রান্ত হাজারটা অভিযোগ থাকলেও ২০১৭ র সেপ্টেম্বর থেকে ১৮র নভেম্বর পর্যন্ত নিয়োগের হার চোখে পড়ার মতো।
ইপি এফও র লেটেস্ট পেরোল ডাটা বলছে ২০১৭ র নিয়োগ এর হার পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি, যা চলতি হিসাবের তুলনায় অনেকটাই কম। এমনিতে ইপিএফও কর্মচারীদের সঙ্গে প্রায় বন্ধুর ভূমিকা পালন করে থাকে। সংগঠিত ও অসংগঠিত কর্মচারীদের প্রফিডেন্ড ফান্ডের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে ইপিএফও। এই সংস্থার তালিকায় জুড়ে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা ছয় কোটির উপরে। ইপিএফও র কর্মী সংখ্যার তালিকা কেন্দ্রের ৫৬ ইঞ্চির ছাতিকে বেশ খানিকটা ফুলিয়ে দেবে সন্দেহ নেই। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের রুখে দিতে দারুণ সহায়ক হবে এই পরিসংখ্যান, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। মহাজোটের অভিযোগ, কেন্দ্রের নোট বাতিল ও জি এস টি র ফলে প্রায় দেড় কোটি মানুষ চাকরি খুইয়েছেন। সেখানে এই ছয় কোটির সংযোজন বিজেপির জয় রথের পালে হাওয়া বাড়াবে।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরি না সই বেসরকারি চাকরি তো নতুন দিশা দেখিয়ে দিল। এতেই অভিযোগের ঘা সামলে স্বস্তির ঢেঁকুর তুলবে মোদি সরকার। এমনিতেই ভোট প্রচারে নেমে গত চার বছরের কাসুন্দি ঘেঁটে ফের আবেগে খোঁচা দিতে চলেছে বিজেপি, যার নাম হিন্দুত্ব। ফের যদি এই আবেগে কাজ চলে তাহলেই তো কেল্লাফতে, পাঁচ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত। রাফাল দুর্নীতি কে একবার জনতার চোখ বাঁচিয়ে ঠান্ডা ঘরে ঢুকিয়ে দিতে পারলেই হল তারপর টগবগিয়ে ছুটবে জয়ে র রথ।