আপারের নিয়োগ আদৌ হবে? জোড়া মামলায় বেসামাল কমিশন ‘নিপাত যাক’!

আজ বিকেল: সাংবাদিক বৈঠক করে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই শেষ করার কথা জানিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার৷ কিন্তু, জানুয়ারি শেষ হতে চললেও এখনও প্রকাশ্যে আসেনি উচ্চ প্রাথমিকের বিজ্ঞপ্তি৷ কমিশনের দেওয়া ডেটলাইনও প্রায় শেষের পথে৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোটের আগে আদৌ নিয়োগ সম্ভব? প্রশ্ন তুলছেন চাকরি-প্রার্থীদের

5de998ca31ae372fd4db25ef340ebe58

আপারের নিয়োগ আদৌ হবে? জোড়া মামলায় বেসামাল কমিশন ‘নিপাত যাক’!

আজ বিকেল: সাংবাদিক বৈঠক করে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যেই শেষ করার কথা জানিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার৷ কিন্তু, জানুয়ারি শেষ হতে চললেও এখনও প্রকাশ্যে আসেনি উচ্চ প্রাথমিকের বিজ্ঞপ্তি৷ কমিশনের দেওয়া ডেটলাইনও প্রায় শেষের পথে৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে লোকসভা ভোটের আগে আদৌ নিয়োগ সম্ভব? প্রশ্ন তুলছেন চাকরি-প্রার্থীদের একাংশের৷ কিন্তু, কেন উঠছে এই প্রশ্ন?

চাকরি-প্রার্থীদের একাংশের অভিযোগ, চলতি সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি কমিশন৷ কিন্তু, কথা ছিল ২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত হবে বিজ্ঞপ্তি৷ কিন্তু, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, ২৯ তারিখ মঙ্গলবার যদি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়, তাহলেও ডক্যুমেন্ট ভেরিফিকেশনের ডাক পেতে পেতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ লেগে যাবে৷ বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, কমিশনের হাতে থাকা ১৩,০৮০টি শূন্যপদের প্রায় ১৭ হাজার প্রার্থীকে ডক্যুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হতে পারে৷ ফলে, মনে করা হচ্ছে, একলপ্তে ১৭ হাজার প্রার্থীর ডক্যুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য আরও সপ্তাহ দুয়েক সময় লেগে যেতে পারে৷ তারপর ওই চাকরি-প্রার্থীদের ডক্যুমেন্ট ভেরিফিকেশনের তথ্য নথিবদ্ধ করার কাজ৷

ফলে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ হলেও কিছু না হলেও এই কাজ করতে আরও কয়েক দিন কেটে যেতে পারে৷ ডক্যুমেন্ট ভেরিফিকেশনের পর স্কুলের তালিকা ও ইন্টার্ভিউ পর্ব রয়েছে৷ তার উপর রয়েছে প্রধান-শিক্ষক নিয়োগের মামলা৷ আগামী সোমবার নবম-দশমে মেধাতালিকা প্রকাশ না করে নিয়োগ আদালত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টে যেতে পারেন কমিশনের প্রাক্তন ও বর্তমান চেয়ারম্যান৷ ফলে, এই মুহূর্তে জোড়া মামলার চাপে বেসামাল কমিশন৷ সেই সংক্রান্ত ফাইল-পত্র প্রস্তুত করতেও বেশ কিছুটা সময় লেগে যেতে পারে৷ ফলে, চাকরি-প্রার্থীদের গোটা প্রক্রিয়া মার্চ পর্যন্ত গড়িয়ে যেতে পারে৷ আগামী বুধবার রাজ্যের সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ৷ ফলে, সেই প্রস্তুতিও চলছে জোরকদমে৷ আর মার্চের প্রথম সপ্তাহে জারি হতে পারে লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি৷ নির্বাচনী বিধিনিষেধ চালু হয়ে গেলে থমকে যেতে পারে গোটা প্রক্রিয়া৷ ফলে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আদৌ নিয়োগ হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে চাকরি-প্রার্থীদের অন্দরে৷

কমিশনের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে চাকরিপ্রার্থী রাজা নন্দীর বলেন, ‘‘উচ্চ প্রাথমিকে আদৌ নিয়োগ হবে কি না, তা বোঝা যাচ্ছে না৷ এই চেয়ারম্যানের তুলনায় আগের ম্যাডাম অনেক ভাল কাজ করেছিলে৷ এখন কমিশন কী করতে চাইছে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না৷ চাকরি-প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করা কমিশন নিপাত যাক৷ এটাই আমরা চাই৷ ’’ উচ্চ প্রাথমিকে শূন্যপদ বৃদ্ধির দাবি প্রসঙ্গে এসএসসি চাকরি-প্রার্থী মঞ্চের সভাপতি রাজা নন্দী বলেন, ‘‘একমাত্র রাজ্যব্যাপী জোরালো আন্দোলন ও শূন্যপদের উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ সরকারের কাছে তুলে ধরা চাপ বাড়ানোর কৌশল নেওয়া উচিত৷ সরকারকে ২০১৯ মার্চের মধ্যে আপডেট সিটে কমপক্ষে ৩০০০০ শূন্যপদে নিয়োগ করতে বাধ্য করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *