জঙ্গিদের গুলিতে মৃত স্বামীর চিতা জ্বলে সেনায় যোগ স্ত্রীর

নয়াদিল্লি: বিয়ের পর মাত্র তিন বছরই সঙ্গ পেয়েছিলেন স্বামীর। তারপরেই অকাল বৈধব্য নেমে আসে নীরু সাম্ব্যালের জীবনে। স্বামী রবীন্দর সিং সাম্ব্যাল ছিলেন আর্মির অফিসার। জম্মু ও কাশ্মীরের ২ নম্বর রাইফেল ইউনিটে ছিল তাঁর পোস্টিং। ২০১৫ সালে মারা যান তিনি। আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ে হলে হয়তো স্বামীর মৃত্যুর পরেই কার্যত তাঁর জীবন থেমে যেত। বা কোনওমতে

জঙ্গিদের গুলিতে মৃত স্বামীর চিতা জ্বলে সেনায় যোগ স্ত্রীর

নয়াদিল্লি: বিয়ের পর মাত্র তিন বছরই সঙ্গ পেয়েছিলেন স্বামীর। তারপরেই অকাল বৈধব্য নেমে আসে নীরু সাম্ব্যালের জীবনে। স্বামী রবীন্দর সিং সাম্ব্যাল ছিলেন আর্মির অফিসার। জম্মু ও কাশ্মীরের ২ নম্বর রাইফেল ইউনিটে ছিল তাঁর পোস্টিং। ২০১৫ সালে মারা যান তিনি। আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ে হলে হয়তো স্বামীর মৃত্যুর পরেই কার্যত তাঁর জীবন থেমে যেত। বা কোনওমতে এগিয়ে যেত জীবনের পথ। তবে নীরুর ক্ষেত্রে তা হয়নি। কারণ তিনি যে আর্মি অফিসারের স্ত্রী। তাই স্বামীর লক্ষ্যকেই নিজের জীবনের লক্ষ্য বানালেন তিনি। দেশের সেবা করার জন্য যোগ দিলেন আর্মিতে। এখন তিনি লেফেটেন্যান্ট নীরু সাম্ব্যাল।

সিদ্ধান্ত নেওয়াটা মোটেই সহজ ছিল না। তবে তিনি পেরেছেন। নীরু জানিয়েছেন, স্বামীর আত্মত্যাগ আর তাঁদের মেয়ে সানিধ্যায়াই তারঁ অনুপেরণা। আর তাঁর জীবনের এই কঠিন জার্নিতে তিনি সবসময় পাশে পেয়েছেন স্বামী যে ইউনিটে ছিলেন সেখানকার সেনাদের। নিজের ইউনিট সম্পর্কে খুবই আবেগপ্রবণ ছিলেন নীরুর স্বামী রবীন্দরও। নীরু জানিয়েছেন, “রবীন্দর আমায় বলতো আমি যদি মারাও যাই তাহলেও তোমার একটা ফ্যামিলি থাকবে।” স্বামী চলে যাওয়ার পর এই কথাটা আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন নীরু। আপাতত সেনাবাহিনীতে যোগদান করে ভীষণ খুশি তিনি। সঙ্গে সঙ্গে আত্মবিশ্বাসীও। নীরু জানিয়েছেন, “আমার স্বামী আমায় এই রূপে দেখলে খুবই খুশি হতেন। গর্ব অনুভব করতেন আমার জন্য। আমায় সবসময় কিছু করার জন্য উৎসাহ দিতেন উনি” এর পাশপাশি স্বামীর প্রাক্তন ইউনিটকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন মীরু। তিনি বলে, “ওঁরা আমার পরিবার। আমার যদি কিছু হয়েও যায় জানি ওঁরা সবসময় আমার মেয়ের পাশে থাকবেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + eight =