আপারে নিয়োগের দাবিতে কমিশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি তুঙ্গে

কলকাতা: কথা দিয়েও রাখতে পারেনি কমিশন! ভোটের উত্তাপ যতই বাড়ছে, ততই ক্ষোভের আগুন জ্বলছে চাকরি-প্রার্থীদের অন্দরে৷ পাঁচ বছর ধরে ঝুলে থাকা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় বেকারত্বের যন্ত্রণায় গুমরে রাজ্যের কয়েক লক্ষ্য চাকরি প্রার্থী৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ এসএসসি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ৷ কমিশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে চাকরি-প্রার্থীদের তরফেও

আপারে নিয়োগের দাবিতে কমিশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি তুঙ্গে

কলকাতা: কথা দিয়েও রাখতে পারেনি কমিশন! ভোটের উত্তাপ যতই বাড়ছে, ততই ক্ষোভের আগুন জ্বলছে চাকরি-প্রার্থীদের অন্দরে৷ পাঁচ বছর ধরে ঝুলে থাকা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় বেকারত্বের যন্ত্রণায় গুমরে রাজ্যের কয়েক লক্ষ্য চাকরি প্রার্থী৷ এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ এসএসসি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ৷ কমিশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে চাকরি-প্রার্থীদের তরফেও দেওয়া হয়ে খোলা ক্লিনচিট৷ ঠিক কী জানানো হয়েছে খোলা ক্লিনচিটে?

পশ্চিমবঙ্গ এসএসসি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সভাপতি রাজা নন্দী আজ বিকেল ডট কমকে জানিয়েছেন, ‘‘আমরা জানি আপার প্রাইমারি পাঁচ বছর ঝুলে আছে৷ এর সমাধানের জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দরকার৷ এর জন্য সমস্ত আপার চাকরিপ্রার্থী একসঙ্গে আন্দোলন করার আলোচনা করি৷ জেলা মিটিং ডেকে ১৫ হাজার চাকরিপ্রার্থীকে কলকাতায় আপারের বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি শুরু করি৷ কিন্তু হটাৎ কিছুজন কোনওকিছু আগাম না জানিয়ে ৩১ তারিখ আন্দোলনের প্রচার শুরু করে৷ আপারে ভেরিফিকেশনের নোটিফিকেশন ওয়েবসাইটে না আসাই এর কারণ৷ যে আন্দোলন নিষ্ফল আচার্য সদনে হবে৷ খোঁজ নিয়ে জানলাম এই আন্দোলনের পারমিশন ও হয়নি এখনও৷ আর এর প্রধান লক্ষ্য আপারে ভেরিফিকেশন শুরু করা৷ সিট বৃদ্ধির দাবি এই আন্দোলনে ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ আমরা জানি এই সরকারের কাছ থেকে কিছু দাবি আদায়ের জন্য জোরালো বৃহত্তর আন্দোলনই একমাত্র পথ৷ বার বার ৫০০ অথবা হাজার লোকের আন্দোলন সরকার নস্যি দিয়েও গ্রাহ্য করে না৷ এতে নিজেদের দুর্বলতা সরকারের কাছে পৌঁছায়৷ এর আগেও তারা ৭৮ জনের আন্দোলন করে সকলের কাছে প্রহসনের পাত্র হয়েছে৷’’

‘‘আমিও চাই আন্দোলন একসঙ্গেই হোক৷ কিন্তু সব জেলা মিটিং সম্পন্ন করে ১০-১৫ হাজার চাকরিপ্রার্থী নিয়ে কলকাতা চাক্কা জ্যাম করে সরকারকে প্রবল চাপে ফেলে আপডেট সিটে লোকসভা ভোটের আগে নিয়োগের দাবিতে সব ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু বিকাশ ভবনে হোক৷ সেটা ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই৷ সিট বৃদ্ধির আন্দোলনেই সকলের স্বার্থ সুরক্ষিত৷ আন্দোলন সফল হয় সুপরিকল্পিত নেতৃত্ব, সাংগঠনিক শক্তি, দাবি আদায়ের জন্য প্রতিপক্ষের উপর জোরালো চাপ সৃষ্টি ও আন্দোলনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে৷ ফেসবুকের মাধ্যমে রাজ্যব্যাপী আন্দোলন সংগঠিত করা যায় না৷ মানুষের কাছে পৌঁছানো যায় না৷ সরকারের উপর চাপ বাড়ানো যায় না৷ আর আন্দোলন সফল তো দূরের কথা৷’’

‘‘আর বারবার খণ্ডিত আন্দোলন ডেকে শক্তিক্ষয় করাও আমার নীতির বিপরিত৷ দূরদূরান্ত থেকে যাঁরা আন্দোলনে আসবে তাঁরা খালি হাতে বাড়ি ফিরুক আমি চাই না৷ কেউ বলতে পারেন ২০ নভেম্বরে আন্দোলনে ছ’হাজার লোক এসেছিল তাও আপারে কিছু অগ্রগতি হল না৷ আপনাদের বলি প্রতিপক্ষ যখন অধিক শক্তিশালী তখন নিজের শক্তি বাড়াতে হয় যুদ্ধে নামার আগে যাতে সে আত্মসমর্পণ করে৷ যেটা আপারের আন্দোলনের ক্ষেত্রে ভীষণ প্রযোজ্য৷ ভরসা রাখুন, বিশ্বাস রাখুন, বৃহত্তর আন্দোলনে হবেই৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 + thirteen =