আজ বিকেল: এই বাজারে চাকরি পাওয়াটা চাট্টিখানি কথা নয়, আর সেই চাকরি যদি লোভনীয় বেতনের হয় তাহলে তো হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো ব্যাপার। কিন্তু কোথায় পাবেন আকর্ষণীয় বেতনের চাকরি সেজন্য শুরুতেই চাকরির বাজারের দিকে শ্যেন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকতে হবে।
রুটি রুজির জন্য সকলেই কিছু না কিছু করছেন, তাই তাঁদের মধ্যে থেকেও সেরাটা পেতে গেলে নতুন কিছু তো করতেই হবে, একেবারে আনকোরা ও সৃজনশীল। তাহলেই মাসের শেষে মোবাইলে আসবে মোটা বেতন ক্রেডিট হওয়ার এসএমএস। সেই রাস্তায় হাঁটছে জলচর ভারতীয়রা, শুনতে কেমন লাগলেও এটাই সঠিক যে সমুদ্রে ভেসে বেড়ানো ভারতীয়দের চাহিদা এখন বিশ্ববাজারে প্রবল। যেসব দেশ জাহাজে ও ডুবুরির কাজের জন্য কর্মী সরবরাহ করে তাদের মধ্যে ভারত অন্যতম। এই মুহূর্তে নাবিক সরবরাহের কাজে বিশ্বের মধ্যে তিন নম্বরে রয়েছে ভারত।
গত চারবছরে জাহাজ, বোট স্টিমারে ভারতীয়দের চাকরির হার রীতিমতো নজরকাড়া, প্রায় ৪২.৩ শতাংশ ভারতীয় নাবিক সমুদ্রেই নিজেদের রুটি রুজির সন্ধান করে নিয়েছেন। যেসব মানুষজন জাহাজে কাজ করেন ও যাঁরা নিয়মিত সমুদ্রে যাচ্ছেন তাঁদেরই কপাল খুলে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে ভারতীয়দের মধ্যে সমুদ্রে চলে ফিরে বেড়ানো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা ১.৫৪ লক্ষ, যার মধ্যে ৪ হাজার ৭০০ জন শুধু মহিলা। আর এদের মধ্যে ৮১০জন হলেন জাহাজি। পরিস্থিতি বুঝে দেশেই নৌবাহিনীতে নিয়োগের সংখ্যা বাড়িয়েছে সরকার, একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়ে এইসব নাবিকদের বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে। যাঁরা বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর দক্ষ আধিকারিক পদে কাজ করছেন।
বিশ্বজুড়ে নিযুক্ত ভারতীয় নাবিকদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে, ২০১০-এ যে সংখ্যা ছিল ১০লক্ষ আট হাজার ৪৪৬ জন, ২০১৭-তে তা বেড়ে হয়েছে ১৫ লক্ষ চার হাজার ৩৪৯ জন। তাই দেশের বেকার সমাজকে উজ্জীবিত করতে সরকারিভাবে নাবিকের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। যারফলে বিভিন্ন বেসরকারি নাবিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার মুখে, কেননা এই কেন্দ্রগুলি প্রশিক্ষণ দিলেও শংসাপত্র ঠিকঠাক দিতে পারে না, আর সরকারি শংসাপত্রের তো আলাদা চাহিদাই রয়েছে। বলা বাহুল্য, নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে প্রশিক্ষিত নাবিক সরবরাহের কাজে উদ্যোগ নিয়েছে জাহাজ মন্ত্রক।