গত ৫ বছরে সরকারি চাকরিতে কত লক্ষ্য নতুন শূন্যপদ তৈরি হয়েছে জানানে?

শাম্মী হুদা: পাঁচ বছরের মসনদ যাপন সম্পূর্ণ করতে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার, আর এই আমলেই সরকারি চাকরিতে শূন্যপদের সংখ্যা ৬০ লক্ষেরও বেশি। এই শূন্যপদ গুলি স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে পুলিশের চাকরিতেও রয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের শূন্যপদের তালিকা এই ষাট লাখির অন্তর্গত। এদিকে যখন ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলছে লোকসভা ভোট তখনই ফের ক্ষমতা ফিরে পেতে ওই

গত ৫ বছরে সরকারি চাকরিতে কত লক্ষ্য নতুন শূন্যপদ তৈরি হয়েছে জানানে?

শাম্মী হুদা: পাঁচ বছরের মসনদ যাপন সম্পূর্ণ করতে চলেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার, আর এই আমলেই সরকারি চাকরিতে শূন্যপদের সংখ্যা ৬০ লক্ষেরও বেশি। এই শূন্যপদ গুলি স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে পুলিশের চাকরিতেও রয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের শূন্যপদের তালিকা এই ষাট লাখির অন্তর্গত। এদিকে যখন ঘাড়ের উপরে নিঃশ্বাস ফেলছে লোকসভা ভোট তখনই ফের ক্ষমতা ফিরে পেতে ওই ষাট লাখি শূন্যপদকে হাতিয়ার করে প্রচারে নেমেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বিজেপি যেসব রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেও চলছে অহরহ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। এই জন্যেই ভোটের বাজারে হিট থাকতে তড়িঘড়ি উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণও চালু করে ফেলল কেন্দ্র।

এবার দেখা যাক সরকারি চাকরির ঠিক কোন কোন খাতে উল্লেখিত শূন্যপদগুলি রয়েছে। শুধু শিক্ষাদপ্তরে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেই ১০ লক্ষেরও বেশি শূন্যপদের প্রমাণ মিলেছে। কলেজের অধ্যাপকদের শূন্যপদের সংখ্যা ২ লক্ষের কাছাকাছি, বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটি, আইআইএম মিলিয়ে শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষের কাছাকাছি। রাজ্যপুলিশে শূন্যপদের সংখ্যা ৫.৩৮ লক্ষ, গোটা দেশের নিম্ন আদালত গুলিতে নিযুক্ত বিচারকের শূন্যপদ ৫০০০। স্বাস্থ্যমন্ত্রকেরও একই অবস্থা।এদিকে এই শূন্যপদ নিয়ে কেন্দ্রের দিকেই অসন্তোষের আঙুল তুলছে বিভিন্ন রাজ্য সরকার, যেসব চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগের সুযোগ রাজ্য়ের হাতে রয়েছে, সেসবও অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে কেন্দ্র, এমনই অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্যদপ্তর, শিক্ষা ও পুলিশে শূন্যপদ থাকলেও কেন্দ্র সেই তালিকার প্রকাশ আটকে রেখেছে। বিষয়টি বার বার পার্লামেন্টের অঘিবেশনে আলোচিত হলেও কোনওরকম সমাধান সূত্র নিয়ে মুখ খোলেননি বিজেপির সাংসদরা। বরং অভিযোগ সামাল দিতে সাফাই গেয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এম কৃষ্ণন। তাঁর বক্তব্য, শূন্যপদের সংখ্যা ৬০ লক্ষ ছাড়ালেও এই তালিকায় নেই দেশের বড় দুই সরকারি চাকরির ক্ষেত্র রেল ও ডাক বিভাগ। তাই বলে রেলে আর ডাক বিভাগে নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে এমনটাও নয়। ডাক বিভাগে ৫৭হাজারের উপরে শূন্যপদ রয়েছে, একইভাবে রেলে শূন্যপদের সংখ্যা আড়াই লাখেরও বেশি।

সবথেকে চমকের বিষয় হল শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মতো জরুরি পরিষেবায় শূন্যপদের সংখ্যা অগুন্তি, আর তানিয়ে কেন্দ্রের কোনও হেলদোল নেই। যারফলে প্রয়োজনীয় কর্মীর অভাবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো যেমন বিপর্যস্ত তেমনই দেশে শিক্ষার মান নির্ণায়ক আইআইএম, আইআইটি গুলির অবস্থাও শোচনীয়। এতদিন এসব খবর চাপা থাকলেও ভোটের বাজারে বেকারত্ব নিয়ে বড় বেশি মাথা ঘামাচ্ছে কেন্দ্র। ক্ষমতায় টিকে থাকতে এবার শূন্যপদগুলিকেই বাজি রেখেছে বিজেপি, যদিও শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে এনিয়ে পুঞ্জিভূত ক্ষোভ বিদ্যমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =