হাইকোর্টের নির্দেশ: চূড়ান্ত বিপাকে বাংলার ১ লক্ষ ৬৯ হাজার শিক্ষক

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রবিবার পরীক্ষায় বসছেন রাজ্যের ১ লক্ষ ৬৯ হাজার শিক্ষক৷ D.EL.Ed পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ ডিইএলইডি-র পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলার আবেদ জানানো হলেও তা গুরুত্ব দেয়নি হাইকোর্ট৷ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বাতিল হওয়া দু’টি পেপারের পরীক্ষার দিনক্ষণ বদল হচ্ছে না বলে আদালতের তরফে সাফ

হাইকোর্টের নির্দেশ: চূড়ান্ত বিপাকে বাংলার ১ লক্ষ ৬৯ হাজার শিক্ষক

কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে রবিবার পরীক্ষায় বসছেন রাজ্যের ১ লক্ষ ৬৯ হাজার শিক্ষক৷ D.EL.Ed পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস মামলায় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ ডিইএলইডি-র পরীক্ষায় স্থগিতাদেশ চেয়ে মামলার আবেদ জানানো হলেও তা গুরুত্ব দেয়নি হাইকোর্ট৷ নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বাতিল হওয়া দু’টি পেপারের পরীক্ষার দিনক্ষণ বদল হচ্ছে না বলে আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

গত বছরের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর নেওয়া পরীক্ষা বাতিল হয়েছিল৷ নতুন করে তা নেওয়া হবে ৩ ফেব্রুয়ারি৷ যার বৈধতা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়৷ ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই দিনেই পরীক্ষা হবে৷ কিন্তু, আদালতের অনুমতি ছাড়া পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা যাবে না৷ ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার এই প্রসঙ্গে তাদের হলফনামা জমা করবে ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানিতে৷

বিইএলইডি-র পরীক্ষা যাতে ৩ ফেব্রুয়ারি না নেওয়া হয় তার জন্য, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ৷ ২০ ও ২১ ডিসেম্বর ডিইএলঅডির ৫০৬ ও ৫০৭ নম্বরের পেপারে পরীক্ষা হয়৷ প্রশ্ন ফাঁসের জন্য পরে এনআইওএস শুধু পশ্চিমবঙ্গে সেই পরীক্ষা বাতিল করে৷ সর্বভারতীয় পরীক্ষা নেওয়া হলেও শুধুমাত্র রাজ্যে এই পরীক্ষা বাতিল করা হল, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলা হয়৷ দায়ের হয় মামলা৷ প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার দায় কার? তা নিয়েও ক্ষোভ জমে শিক্ষকদের মধ্যে৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির মাসুল কেন গুনবেন শিক্ষকরা? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে যান শিক্ষকদের একাংশ৷ কিন্তু, এদিনের মামলার শুনানিতেই শিক্ষকদের আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে আদালত সূত্রে খবর৷ আদালতে তরফে স্থগিতাদেশ না আসায় আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই রাজ্যের প্রায় পৌনে দু’লক্ষ প্রশিক্ষণরত স্কুলশিক্ষকের ডিএলএড পরীক্ষায় বসছেন৷ ২০১৭ সালের এনসিটিই এবং ভারত সরকারের গাইডলাইন অনুযায়ী প্রশিক্ষণহীন শিক্ষকদের ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ-এর মধ্যে শিক্ষক প্রশিক্ষণ নেওয়া সম্পূর্ণ করতে হবে৷ আর তার জেরেই তড়িঘড়ি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছেন শিক্ষকরা৷ একই দিনে দু’টি পেপারের পরীক্ষা নেওয়াকে কেন্দ্র করেও তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের মধ্যে পরীক্ষার দিন ঘোষণা হওয়ায় দিন বদলের জন্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করল বাম পরিষদীয় দল৷ বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার করার আর্জি জানিয়ে পার্থবাবুকে চিঠি দিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী৷

গত ২০-২১ ডিসেম্বর গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যের ওই শিক্ষকরাও সেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন৷ কেন্দ্রের নির্দেশে প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রক্রিয়া আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করতে হবে৷ তা না হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চাকরি থাকা নিয়ে সংশয় দেখা দেবে৷ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠার পর কেন্দ্রের নির্ধারিত সংস্থা এনআইওএস কেবল বাংলার জন্য তা বাতিল করে৷ দু’দিনের সেই পরীক্ষা এবার আগামী ৩ তারিখ একদিনেই নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ ব্রিগেডের দরুণ ওই দিন রাস্তাঘাটে যানবাহন সমস্যা দেখা দিতে পারে ও বহু শিক্ষক পরীক্ষাকেন্দ্রে সময়ে পৌঁছতে পারবেন না বলে মনে করছেন স্বয়ং সুজনবাবুই৷ তাই এ বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে অবিলম্বে কথা বলার আর্জি জানিয়েছেন তিনি পার্থবাবুকে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 3 =