কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে D.EL.Ed-এর বাতিল হওয়া দু’টি পেপারের পরীক্ষা শুরুর আগেই ছাড়াল বিভ্রান্তি৷ পরীক্ষাকেন্দ্রে অব্যবস্থা ও হয়রানি শিকার শিক্ষকদের একাংশ৷ প্রতিবাদে বিক্ষোভ পরীক্ষার্থী শিক্ষকদের৷ কোথায় সিট নম্বর নিয়ে বিভ্রান্তি, কোথায় আবার পরীক্ষা কেন্দ্র চূড়ান্ত অচলাবস্থার অভিযোগ৷
জানা গিয়েছে, আজ সকালে NIOS পরীক্ষার আগে হুগলীর হরিপালে পরীক্ষাকেন্দ্রে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ এই কেন্দ্রে এক হাজার প্রার্থীর সিট পড়লেও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অবস্থার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা৷ অন্যদিকে, হাওড়ায় মারিয়া ডে স্কুলেও চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হয় পরীক্ষার্থীদের৷ অভিযোগ, সিট নম্বরে বিভ্রাট দেখা দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখান পরীক্ষার্থীরা৷
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আজ পরীক্ষায় বসেছেন রাজ্যের ১ লক্ষ, ৬৯ হাজার শিক্ষক৷ যদিও এই পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের হলেও তা খারিজ করেছে হাইকোর্ট৷ প্রশ্ন ফাঁস মামলার শুনানিকতে বিইএলইডি-র পরীক্ষা যাতে ৩ ফেব্রুয়ারি না নেওয়া হয় তার জন্য, হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ৷ ২০ ও ২১ ডিসেম্বর ডিইএলঅডির ৫০৬ ও ৫০৭ নম্বরের পেপারে পরীক্ষা হয়৷ প্রশ্ন ফাঁসের জন্য পরে এনআইওএস শুধু পশ্চিমবঙ্গে সেই পরীক্ষা বাতিল করে৷ সর্বভারতীয় পরীক্ষা নেওয়া হলেও শুধুমাত্র রাজ্যে এই পরীক্ষা বাতিল করা হল, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলা হয়৷ দায়ের হয় মামলা৷ প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার দায় কার? তা নিয়েও ক্ষোভ জমে শিক্ষকদের মধ্যে৷ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির মাসুল কেন গুনবেন শিক্ষকরা? এই প্রশ্ন তুলে আদালতে যান শিক্ষকদের একাংশ৷ কিন্তু, এদিনের মামলার শুনানিতেই শিক্ষকদের আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে আদালত সূত্রে খবর৷ আদালতে তরফে স্থগিতাদেশ না আসায় আজ বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই রাজ্যের প্রায় পৌনে দু’লক্ষ প্রশিক্ষণরত স্কুলশিক্ষকের ডিএলএড পরীক্ষায় বসেছেন৷