মোদির দেশে উপার্জনের কোনও সুযোগই পাচ্ছে না যুব সমাজ: সমীক্ষা

নয়াদিল্লি: দেশের শ্রমজীবী মানুষের অর্ধেকের হাতেই নেই কোনও কাজ৷ এর সিংহভাগই যুবক-যুবতী৷ নরেন্দ্র মোদী সরকারের একের পর এক গালভরা প্রতিশ্রুতি ফের মিথ্যে প্রমাণ করলো ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অর্গানাইজেশন(এনএসএসও)-র পিরিওডিক লেবার ফোর্স-এর সমীক্ষা৷ এই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ২০১৭-১৮ সালে কর্মক্ষম শ্রমজীবীর কাজের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৪৯.৮ শতাংশ৷ সমীক্ষায় আরও দেখা যাচ্ছে যে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ

মোদির দেশে উপার্জনের কোনও সুযোগই পাচ্ছে না যুব সমাজ: সমীক্ষা

নয়াদিল্লি: দেশের শ্রমজীবী মানুষের অর্ধেকের হাতেই নেই কোনও কাজ৷ এর সিংহভাগই যুবক-যুবতী৷ নরেন্দ্র মোদী সরকারের একের পর এক গালভরা প্রতিশ্রুতি ফের মিথ্যে প্রমাণ করলো ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে অর্গানাইজেশন(এনএসএসও)-র পিরিওডিক লেবার ফোর্স-এর সমীক্ষা৷ এই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে ২০১৭-১৮ সালে কর্মক্ষম শ্রমজীবীর কাজের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৪৯.৮ শতাংশ৷ সমীক্ষায় আরও দেখা যাচ্ছে যে প্রায় অর্ধেক পরিমাণ কর্মক্ষম ভারতীয়দের কোনও উপার্জন নেই৷ এই প্রথম এত সংখ্যক কর্মক্ষম ব্যক্তির হাতে কোনও কাজ নেই, ফলে আয়ও নেই এবং এর প্রভাবে দেশের সম্পদও বৃদ্ধি হচ্ছে না৷

২০০৪-০৫ সালে দেশে জনসংখ্যার হিসেবে ৬৩.৭ শতাংশ মানুষ কাজ করতেন৷ ২০১১-১২ সালে সেই সংখ্যা কিছুটা কমে হয়েছিল ৫৫.৯ শতাংশ৷ নরেন্দ্র মোদী সরকারের জমানায় রেকর্ড পতন হয়েছে এই ক্ষেত্রে৷ স্বাধীনতার পর এই প্রথম জনসংখ্যার নিরিখে এত পরিমাণ মানুষের কাজের ক্ষমতা থাকা সত্বেও কাজ পাচ্ছে না৷ কর্মহীনতার তালিকায় সিংহভাগই রয়েছে দেশের নব প্রজন্মের যুবক যুবতীরা৷

এনএসএসও-র এই সমীক্ষায় ২০১৭-১৮ সালের তথ্য দেওয়া হয়েছে৷ যদিও মোদী সরকার এই সমীক্ষা রিপোর্ট নির্বাচনের আগে প্রকাশ করতে বাধা দিয়েছিল, কিন্তু ইতিমধ্যেই এই তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন সংবাদসংস্থার হাতে৷ দেশে কাজের জায়গা কমে যাওয়ায় তার উদ্বেগজনক প্রভাব পড়েছে মহিলাদের কর্মসংস্থানের ওপর। ২০১১-১২ সাল ও ২০১৭-১৮ সালের তুলনা করলে দেখা যায় যে মহিলাদের কাজের হার কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ৷

সমীক্ষায় আরও বলছে, শহরের তুলনায় গ্রামে কাজের হার কমেছে ভয়ানকভাবে, ৬৭.৭ শতাংশ থেকে ৫৮.৭ শতাংশ হয়েছে৷ তবে তুলনায় শহরাঞ্চলে পতনের হার কম, ৪৯.৩ শতাংশ থেকে ৪৭.৬ শতাংশ হয়েছে৷ কর্মসংস্থানের দিক থেকে গ্রাম ও শহরের এই বিভাজন দেশের অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে দেবে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা৷ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকনোমিক রিলেশনস্‌-এর বরিষ্ঠ অধ্যাপক রাধিকা কাপুরের মতে গ্রামের মানুষের হাতে কাজ না থাকার মানেটা অনেক গভীর৷ অর্থাৎ সরকার গ্রামকেন্দ্রিক যে এত যোজনার কথা বলছে, যার মধ্যে রেগার কাজও আছে, সেগুলো আদপে বাস্তবায়িত হচ্ছে না৷ এছাড়াও গ্রামীণ যুবক-যুবতীর রোজগারের জন্য বিভিন্ন রকমের প্রকল্প নিশ্চয়ই সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করা হচ্ছে না৷ কোথাও সমস্যা আছে, নইলে এতটা পতন সম্ভব নয়৷ গ্রামের অর্থনীতির পতন মানেই হচ্ছে দেশের অর্থনীতি দুর্বল হচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 5 =