কলকাতা: প্রতিশ্রুতি নয়, হাতে হাতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে এবার রাতভর অবস্থান বিক্ষোভে সবে পরলেন উচ্চ প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ বৃহস্পতিবার ১২টা থেকে শুরু হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান বিক্ষোভ এখনও চলছে৷ চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেওয়া জন্য পুলিশের তরফে গ্রেপ্তারির ভয় দেখানো হলেও নিজেদের দাবিতে অনড় আপার প্রার্থীরা৷ যতক্ষণ না পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে বলেও জানান চাকরিপ্রার্থীরা৷ এদিনের এই আন্দোলনের জেরে কমিশনের চেয়ারম্যানকে পেছনের দরজা দিয়ে অফিসে ঢুকতে হয় বলেও জানা গিয়েছে৷
বৃহস্পতিবার উচ্চ প্রথমিকে নিয়োগের দাবিতে আচার্য সদনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ আচার্য সদন থেকে বিকাশ ভবনে ডেপুটেশনও জমা দেওয়া হয়৷ ডেপুটেশন কর্মসূচিতে চেয়্যারম্যান চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বস্থ করে জানান, আপার প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ভেরিফিকেশনের কাজ শুরু হবে৷ ১৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যে নোটিফিকেশন জারি হবে৷ কিন্তু কমিশনের এই প্রতিশ্রুতি মানতে নারাজ চাকরিপ্রার্থীরা৷ তাঁদের দাবি, বিজ্ঞপ্তি জারি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা তাঁদের অবস্থান চালিয়ে যাবেন৷ এদিন উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি ও শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে রাতভর বিক্ষোভে বসার ডাক দেওয়া হয়েছে এসএসসি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের তরফে৷ সংগঠনের হুঁশিয়ারি, যতক্ষণ না পর্যন্ত কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যত তাঁদের এই কর্মসূচি চলবে বলেও জানানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন: বাংলায় ১ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করবে রিলায়েন্স: মুকেশ আম্বানি
সম্প্রতি সাংবাদিক বৈঠক করে SSC-র চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, ‘‘উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ১৩০৮০ জন নিয়োগ হবে জানুয়ারি শেষ অথবা ফেব্রুয়ারি প্রথমে৷’’ কিন্তু, কমিশনের বিবৃতি অনুযায়ী শূন্যপদের সংখ্যা নিয়ে চাকরি-প্রার্থীদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷ অবিলম্বে শূন্যপদ বৃদ্ধি করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দাবিতে এদিন পথে নামেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷
কিন্তু, কেন এই দাবি? উচ্চ প্রাথমিকে কমপক্ষে ৩০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের দাবি তুলেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কিন্তু, এই মুহূর্তে কমিশন ১৩০৮০ জনের নিয়োগের কথা ভাবছে৷ ফলে, এত কম সংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগের ঘোষণা হতেই চাকরিপ্রার্থী মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে৷ অবিলম্বে শূন্যপদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দাবিও জানানো হয়েছে৷
আরও পড়ুন: শিলিগুড়িতে ১০ হাজার কর্মসংস্থানের সুযোগ দেবে কোকা কোলা: অর্থমন্ত্রী
উচ্চ প্রাথমিকে ২০১৪ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ১৪০৮৮টি শূন্যপদ ছিল৷ সেই শূন্যপদ বেড়ে ১৮ হাজার হতে পারে বলে অনুমান করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ সঙ্গে আরও সাত হাজার শূন্যপদ যুক্ত হয়ে কমপক্ষে ২৫ হাজার আসানে নিয়োগ হবে বলে আশা করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কিন্তু, কমিশনের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে ১৩০৮০ জনের নিয়োগের কথা ঘোষণা হতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে৷ কেননা, এর আগেও একাধিকবার উচ্চ প্রাথমিকে ৩০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সুর চড়িয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ কিন্তু, বাস্তবে সেই দাবি আদৌ মেনে নেওয়া হবে কি না তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ ভোটের আগে নিয়োগ শেষ করার দাবি জানিয়ে এদিন জোড়া কর্মসূচি পালনে মাঠে নামেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷