কলকাতা: চাপে পড়ে SSC চাকরপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে পা রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ দীর্ঘ আলোচনার পরও অনশন তুলতে রাজি হননি চাকরিপ্রার্থীরা৷ লিখিত প্রতিশ্রুতিও চেয়েছিলেন তিনি৷ শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে আজও চলছে চাকরিপ্রার্থীদের অনশন৷ চারদিনের অনশনে এখনও পর্যন্ত ১১ জন চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন৷ গর্ভে সন্তান আগলে অনশনে মঞ্চে রয়েছেন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা চাকরিপ্রার্থী৷ তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ কোলে সন্তান নিয়েও বেশ কয়েকজন মহিলা চাকরিপ্রার্থীকে অশনমঞ্চে হাজির হতেও দেখা যায়৷
চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের দাবি মেনে নিচ্ছে সরকার, ততক্ষণ তাঁদের এই অনশন কর্মসূচি চলবে বলেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে, শেষ একবার চেষ্টা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ অনশনরত চাকরিপ্রার্থীদের বুঝিয়ে কর্মসূচি তুলে নেওয়াও আর্জি জানান৷ কিন্তু, তাতে গুরুত্ব দেননি চাকরিপ্রার্থীরা৷
শনিবার সন্ধ্যায় মেয়ো রোডের চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ পার্থবাবু বলেন, যোগ্যতা থাকলে একজন প্রার্থীও বঞ্চিত হবেন না। আমি স্কুল সার্ভিস কমিশনের কর্তাদেরও ডেকেছি। যদি দেখা যায়, কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে, তাহলে সেটা সংশোধন করা হবে। কিন্তু অকৃতকার্য প্রার্থীদের তো আমরা চাকরি দিতে পারি না। এই প্রার্থীদের বললাম, মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল। এই ঠান্ডার মধ্যে কেন অনশন করছেন? ওঁরা সেটা শুনেছেন।
সাংবাদিকদের সামনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা হলো। ওদের অনশন তুলে নেওয়ার কথা বললাম। আসলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ওদের এই অনশনে খুব চিন্তিত। ওদের মঙ্গলবার আসতে বলেছি। তারপর দেখি কী করা যায়। কিন্তু অকৃতকার্যকে তো আর কৃতকার্য করতে পারবো না।”
শনিবার সকালেই সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী যান অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে। সেখান থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে তিনি বলেন, “এতগুলো পরীক্ষার্থী এখানে অনশন করছে। আপনি এদের সঙ্গে এসে একটু দেখা করুন।” তারপরেই সন্ধেবেলা পার্থবাবু যান সেখানে।