হলে গিয়েও চাকরির পরীক্ষা দিতেই পারলেন বহু পরীক্ষার্থী

কলকাতা: ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই অন-লাইন পরীক্ষা নিতে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের চূড়ান্ত হেনস্তা করল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড। রবিবার নিউটাউনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’ পদের অনলাইন পরীক্ষার ন্যূনতম পরিকাঠামো না থাকায় সঠিক সময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত থেকেও পরীক্ষা দিতে পারলেন না ১৫০জন পরীক্ষার্থী। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্রদের সঙ্গে রীতিমতো কৌতুক করল রাজ্যের বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা।

হলে গিয়েও চাকরির পরীক্ষা দিতেই পারলেন বহু পরীক্ষার্থী

কলকাতা: ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই অন-লাইন পরীক্ষা নিতে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের চূড়ান্ত হেনস্তা করল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড। রবিবার নিউটাউনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’ পদের অনলাইন পরীক্ষার ন্যূনতম পরিকাঠামো না থাকায় সঠিক সময়ে কেন্দ্রে উপস্থিত থেকেও পরীক্ষা দিতে পারলেন না ১৫০জন পরীক্ষার্থী।

ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ছাত্রদের সঙ্গে রীতিমতো কৌতুক করল রাজ্যের বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থা। এত বড় ঘটনার পরেও বিষয়টির বিন্দুবিসর্গ জানেন না বলে দাবি করেছেন রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি। দীর্ঘ চার বছর পর আবার রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার তরফে ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’ পদের জন্য আধিকারিক নিয়োগ পরীক্ষার কথা ছিল ৩মার্চ। অনলাইনে দেড় ঘণ্টা ধরে রাজ্যের ৪০টি কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে একটি পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল নিউটাউনের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে।

অন্যান্য কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারলেও এই আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গত রবিবার কেউ ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার’র পদের পরীক্ষাটি দিতে পারেননি। চূড়ান্ত অব্যবস্থার মধ্যে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লড়াই করতে হলো মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষার্থীদের। ভুক্তভোগী এক পরীক্ষার্থী জানিয়েছেন, পরীক্ষা শুরুর কথা ১০টায়, শেষ হওয়ার কথা ১১.৩০-এ।

কিন্তু পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে সকাল ৯টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল। কোনও পরীক্ষার্থী ৯টা ৫০মিনিটে সর্বশেষ পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবে বলে সতর্কও করা হয়েছিল। ইন্টারনেটে নিজের নাম ও অন্যান্য কিছু লগ-ইন করে ওই পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুরুতেই দেখা গেল বিভ্রাট। সাতসকালে নিউটাউনের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছে দেখা যায় গেটের মধ্যে দায়সারাভাবে একটি কাগজে লেখা রয়েছে তাঁদের রোল নম্বর। আর পাশে লেখা কোন ঘরে সেই পরীক্ষার্থী বসবেন। প্রথমে ঘর খুঁজতেই চূড়ান্ত হয়রানি হতে হয় পরীক্ষার্থীদের। পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল নম্বরের ঘর লেখা ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × 3 =