১১ বছর পরেও বাড়েনি বেতন, রাজ্যপালের দ্বারস্থ শিক্ষাবন্ধু ঐক্য মঞ্চ

কলকাতা: এগারো বছর পরেও তাঁদের বেতন বাড়েনি। এমনকি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেও লাভ হয়নি কিছুই। তাই আজ,বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন শিক্ষাবন্ধু ঐক্য মঞ্চ। এদিন বিজেপি শিক্ষক সেলের নেতৃত্বে শিক্ষাবন্ধু ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের কাছে যায়। রাজ্যপালের কাছে দরখাস্ত দিতে গেলে এদিন রাজ্যপাল তাঁদের কথা শুনে সম্মতি জানান বলেই দাবি করেন বিজেপির শিক্ষক সেলের আহবায়ক দীপল

১১ বছর পরেও বাড়েনি বেতন, রাজ্যপালের দ্বারস্থ শিক্ষাবন্ধু ঐক্য মঞ্চ

কলকাতা: এগারো বছর পরেও তাঁদের বেতন বাড়েনি। এমনকি গণতান্ত্রিক আন্দোলন করেও লাভ হয়নি কিছুই। তাই আজ,বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হলেন শিক্ষাবন্ধু ঐক্য মঞ্চ। এদিন বিজেপি শিক্ষক সেলের নেতৃত্বে শিক্ষাবন্ধু ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের কাছে যায়।

রাজ্যপালের কাছে দরখাস্ত দিতে গেলে এদিন রাজ্যপাল তাঁদের কথা শুনে সম্মতি জানান বলেই দাবি করেন বিজেপির শিক্ষক সেলের আহবায়ক দীপল বিশ্বাস। পাশাপাশি তিনি জানান, “রাজ্যপাল বলেছেন যদি শিক্ষাবন্ধু ঐক্য মঞ্চ শিক্ষা বিভাগের সভাপতির সাথে কথা বলতে চায় তবে উনি সেই ব্যবস্থা করে দেবেন। তবে এখন যেহেতু নির্বাচন এগিয়ে এসেছে আমরা তাই এখন কথা বলার বিষয়টি স্থগিত রাখছি”। একই সাথে এসএসসির অনশনকারীদের বিষয়েও রাজ্যপালের সাথে কথা হয় বলেও আজ জানান দিপল বাবু। এদিন শিক্ষক বন্ধু ঐক্য মঞ্চের সভাপতি, রাজ্য সম্পাদক ছাড়াও অন্যান্য সদস্য নিয়ে ছয় জনের প্রতিনিধি দল এসেছিলেন। কয়েক দফা দাবি নিয়ে ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ভুখা মিছিলের ডাকও দিয়েছিল।

সেখানে সমান কাজে সমান বেতন, শিক্ষাবন্ধুর কর্মীদের সঠিক পদ মর্যাদা, অবসরকালীন বয়স ৬৫ ছাড়াও নূন্যতম পাঁচ লক্ষ টাকা গ্র্যাচুইটি ও কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হলে পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে। ওইদিন তাঁরা মিছিল শেষে জানিয়েছিল তাঁদের বেতন বাড়ানো না হলে স্বেচ্ছা মৃত্যুর পথ বেছে নেবেন তাঁরা। মিড ডে মিলের দেখাশোনা থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের পরিদর্শন, প্রাথমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দান থেকে শিক্ষা দফতরের সমস্ত নথি সংগ্রহ সবই করতে হয় তাঁদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের বেতন ৫৯৫৪ বা ৫৪০০ টাকা। যেখানে অন্যান্য রাজ্যে শিক্ষাবন্ধুর কর্মীদের বেতন ৩৮০০০- ৪৬০০০। তাঁদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ দেয় কেন্দ্র আর ৩৫ শতাংশ দিচ্ছে রাজ্য। কিন্তু কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্যের বরাদ্দ অংশও তাঁরা পাচ্ছেন না। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে সর্বশিক্ষা মিশনের অংশ হিসেবে তাঁরা যোগ দেয়। নিয়োগের সময় এক রকম কাজ বললেও এখন তার থেকেও অনেক বেশি কাজ করতে হয়। কিন্তু সেই তুলনায় বেতন বাড়েনি। আর এই নিয়েই অসন্তোষ ঘনীভূত হয়েছে তাঁদের মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + 6 =