নয়াদিল্লি: ভারতের শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপকে নিয়ে তোলপাড় দেশ, বিদেশ। আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’-এর রিপোর্টের জেরে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। মূলত কারচুপির অভিযোগ করা হয়েছে আদানিদের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দল অনেক আগে থেকেই আদানির সঙ্গে নাম জড়িয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আদানিদের সম্পর্ক নিয়েও তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এবার এই নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার তিনি আদানির সঙ্গে মোদীর একটি ছবি সংসদে দেখান।
আরও পড়ুন- বিশ্বের সেরা ১০ ধনকুবেরের তালিকা থেকে ছিটকেই গেলেন আদানি! কত নম্বরে স্থান হল তাঁর?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শিল্পপতি গৌতম আদানির একটি ছবি আজ সংসদ দেখিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সময়ে তিনি যেখানেই গিয়েছন শুধু একটাই নাম শুনেছেন ‘আদানি’। কী ভাবে সব ব্যবসাতেই ঢুকে পড়ে আদানি গোষ্ঠী? প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে আদানিদের সম্পর্ক ঠিক কী? এইসব প্রশ্ন করেন তিনি। এক্ষেত্রে ওই ছবির প্রসঙ্গ টেনে রাহুল দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় আদানিদের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু। ওই রাজ্যকে সাজানোর ভাবনা তখন মাথায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর আসল খেলা শুরু হয়েছে ২০১৪ সালের পর থেকে। এমনই দাবি কংগ্রেস সাংসদের।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বড় বিপদে LIC! কারচুপি করে ধনী হয়েছেন গৌতম আদানি? Hindenburg Research claims fraud, LIC in trouble” width=”835″>
যদিও এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছে, আদানিদের বিরুদ্ধে কোনও কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার থাকলে তা শেয়ার নিয়ন্ত্রক সংস্থা কিংবা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নেবে। তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রের কোনও সম্পর্ক নেই। এদিকে জানা গিয়েছে, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড, আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড এবং আদানি ট্রান্সমিশন লিমিটেড, এই তিন সংস্থার কোটি কোটি টাকার শেয়ার বাজারে ফেরাতে চলেছে আদানি গোষ্ঠী।