পেশোয়ার: পাকিস্তানের মসজিদে যে জঙ্গি আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে তার কাটা মাথা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সেটি আদতে জঙ্গির কিনা সেটা এখনও বলা সম্ভব হবে না। এছাড়াও দেহের বাকি অংশ কোথায় তা নিয়ে নিশ্চিত হতেই পারছে না পুলিশ। একাংশ ভেঙে পড়া মসজিদ থেকে একদিকে যেমন মৃতদেহ উদ্ধার করার কাজ চলছে, অন্যদিকে সন্দেহজনক বোমারু জঙ্গির শরীরের বাকি অংশ খোঁজার কাজও চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আত্মঘাতী হামলা মসজিদে, পাকিস্তানে মৃত্যু বেড়ে ৯০
স্থানীয় পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, যে কাটা মাথা উদ্ধার করা গিয়েছে তা সম্ভবত আত্মঘাতী জঙ্গির। কারণ যে জায়গা থেকে ওই কাটা মাথা উদ্ধার হয়েছে তার আশেপাশেই ওই জঙ্গি লুকিয়ে ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ এও মনে করছে, মসজিদে ঢুকতে কোনও সরকারি আধিকারিকের গাড়ি ব্যবহার করেছিলেন ওই জঙ্গি। এখন আপাতত তার দেহের বাকি অংশ খোঁজার কাজ চলছে। উল্লেখ্য, সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ হয়।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”৫৭ সন্তানের বাবা হয়েও সন্তুষ্ট নন! Sperm donor Kyle Gordy struggling to find a date” width=”835″>
মসজিদে আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান জঙ্গিগোষ্ঠী। কিন্তু কেন এই হামলা করা হল? সেই নিয়েও হুঙ্কার-বার্তা দিয়েছে তারা। বলা হয়েছে, উমর খালিদ খুরাসানির মৃত্যুর বদলা নিয়েছে টিটিপি জঙ্গিগোষ্ঠী। এক সময়ে টিটিপির কমান্ডার ছিল এই খুরাসানি। ২০২২ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান সেনার গুলিতে নিহত হয় সে। স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমের দাবি করেছে, দাদার মৃত্যুর বদলা নেওয়ার জন্য বহু সময় থেকেই এমন একটি হামলার প্রস্তুতি চালাচ্ছিল তাঁর ভাই। অবশেষে পরিকল্পনা করেই সোমবার মসজিদে হামলা চালানো হয়।