মমতা যাই বলুন, রাজ্যবাসীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ তৃণমূল সরকার

আজ বিকেল: লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে এগিয়ে বাংলার ফিরিস্তি দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। বাংলায় উন্নয়ন ধরে রাখতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আরজি জানাচ্ছেন। অথচ অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম বা এডিআর-এর রিপোর্ট বলছে অন্যকথা। শহর গ্রাম কোনও ক্ষেত্রেই তৃমমূল সরকারের উন্নয়ন রাজ্যবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি। কর্মসংস্থান, কৃষিঋণ, উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের ভাল দাম পাওয়া, কোনওটাই সন্তোষজনক নয়। তথ্যানুযায়ী, ৩৯.২৮% কর্মসংস্থানের

মমতা যাই বলুন, রাজ্যবাসীর চাহিদা পূরণে ব্যর্থ তৃণমূল সরকার

আজ বিকেল: লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে এগিয়ে বাংলার ফিরিস্তি দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। বাংলায় উন্নয়ন ধরে রাখতে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আরজি জানাচ্ছেন। অথচ অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্র্যাটিক রিফর্ম বা এডিআর-এর রিপোর্ট বলছে অন্যকথা। শহর গ্রাম কোনও ক্ষেত্রেই তৃমমূল সরকারের উন্নয়ন রাজ্যবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে পারেনি। কর্মসংস্থান, কৃষিঋণ, উৎপাদিত খাদ্যদ্রব্যের ভাল দাম পাওয়া, কোনওটাই সন্তোষজনক নয়।

তথ্যানুযায়ী,  ৩৯.২৮%  কর্মসংস্থানের প্রয়োজন ছিল অথচ সেখানে ২.১৬ শতাংশ সুযোগ মিলেছে। ৩৫.৮৬% কৃষিঋণের জায়গায় ২.২৬ শতাংশ ঋণ মিলেছে। একইভাবে ৩৫.২১% উৎপাদিত পন্যদ্রব্যের দাম পাওয়ার জায়গায় তা কমে দাঁড়িয়েছে ২.২২ শতাংশে। শহরের ক্ষেত্রেও এই বেমানান পরিসংখ্যান চোখে পড়েছে। তবে শহরবাসী তো আর কৃষিঋণের জন্য আগ্রহী নয় তাদের কাছে অনেকবেশি গুরুত্ব কর্ম সংস্থানের অঙ্গীকার বলাবাহুল্য, মমতার সরকার সেই অঙ্গীকার পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, যানবাহনের দূষণ রোধেও যথাযথ পরিকল্পনা নিতে পারেনি। সবমিলিয়ে উন্নয়ন থেকে গিয়েছে কাগজে কলমে, আর তা রূপায়নে পুরোপুরি ব্যর্থ তৃণমূলের ক্ষমতাসীন সরকার।

যদিও এডিআরের রিপোর্ট মানেত রাজি নন তৃণমূল নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই এনিয়ে আলাপআলোচনা শুরু হয়েছে। দলনেত্রীর পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও দাবি করেছেন, রাজ্যে কর্মসংস্থান তিনগুণ বেড়েছে, কৃষকরা ঋম পাচ্ছেন, কৃষকদের থেকে সহায়ক মূল্যে উৎপাদিত পন্য কিনে নিচ্ছে সরকার। তবে যে যাই বলুক রিপোর্ট কিন্তু অন্য কথাই বলছে, আর গ্রামের পাশাপাশি শহরের মানুষও কিন্তু এমন উন্নয়নে খুশি নন তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − 14 =