নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর মানুষ যখন আশা হারাচ্ছিল তখন বাজারে আসে কোভিড টিকা। ধীরে ধীরে টিকার ওপর জোর দিতে শুরু করে সরকার এবং আজ তিন বছর পর পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আগের মতো স্বাভাবিক হয়েছে জনজীবন। কিন্তু টিকা কি আদৌ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাহায্য করেছে? টিকার কারণে কতজন নিরাপত্তা পেয়েছেন কোভিড থেকে, এইসব তথ্য সম্পর্কে জানান কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য এই বিষয়ক তথ্য দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।
আরও পড়ুন- করোনা না কি সাধারণ ফ্লু? বুঝবেন কী ভাবে? দুইয়ের উপসর্গ কি আলাদা?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি ভারতে টিকাকরণ শুরুর পর এখনও পর্যন্ত দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়ে গিয়েছেন। আর কোভিডের টিকার কারণে ৩৪ লক্ষ মানুষের নিরাপত্তা হয়েছে। টিকার কারণে সংক্রমণের তীব্রতা যেমন কমেছে, তেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও মানুষের মধ্যে বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। শুধু তাই নয়, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিও এর কারণে বদলেছে বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৮.৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি আটকানো গিয়েছে টিকাকরণের ফলে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বুস্টার ডোজ নিয়েও মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। সরকার চাইছে টিকাকরণে আরও জোর দিয়ে কোভিডকে ১০০ শতাংশ নির্মূল করতে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বিএফ.৭-ও আক্রান্ত কিনা বুঝবেন কী ভাবে? Know about symptoms of Omicron sub-variant BF.7″ width=”560″>
যদিও সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গোটা বিশ্বের জন্য জনস্বাস্থ্যে এখনও উদ্বেগের বিষয় করোনা অতিমারি। তাঁদের বক্তব্য, অতিমারি পর্যায় এখন বদলের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ভাইরাস ইতিমধ্যে একাধিকবার নিজের রূপ বদলে ফেলেছে এবং বিশেষজ্ঞরা তার নেতিবাচক দিক ইতিমধ্যে দেখে নিয়েছে, তা নিয়ে গবেষণাও চলছে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্পষ্ট বক্তব্য, অতিমারি যে চলে গিয়েছে তা ভাবার কোনও জায়গাই নেই।