কোচবিহার: আর মাত্র ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষা৷ বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের মহাযোঞ্জ শুরু হতে চলছে৷ চলছে চূড়ান্ত মুহূর্তের প্রস্তুতি৷ ভোটের উৎসবে প্রস্তুতি চললেও ফের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করলেন ভোটকর্মীদের একাংশ৷ সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আজও কোচবিহার ডিসিআরসির সামনে শিক্ষক বিদ্রোহ৷ পর্যন্ত নিরাপত্তা না পেলে ভোট করাতে নারাজ শিক্ষকদের একাংশ৷
শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, কমিশনের তরফে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হলেও সব বুথে থাকছে না কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে দুই কেন্দ্রে বুথের সংখ্যা ৩৮৪৪টি৷ তার মধ্যে ৫০-৬০শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর৷ প্রত্যেকটি স্পর্শকাতর বুথে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও অধিকাংশ বুথে থাকছে রাজ্য পুলিশ৷ শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রথম দফায় কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোটে মোট ৩৮৪৪টি বুথের মধ্যে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের মোট বুথ ২০১০৷ তার মধ্যে মাত্র ১০৬০টি বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ বাকি ৯৬০টি বুথে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় ভোট হবে৷ আর এতেই আপত্তি ভোটকর্মীদের একাংশ৷
তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ ভোট করালে তাঁরা শাসকদলের হয়ে কাজ করবে৷ এতে আশান্তি বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হতে পারে৷ কেননা, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও রাজ্য পুলিশকে দিয়ে ভোট করানোর মাসুল গুনতে হয়েছে তাঁদের৷ ভোটের কাজে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন শিক্ষত রাজকুমার রায়৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো এবারের লোকসভা ভোটে হানাহানি রুখতে সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে বিক্ষোভ ভোটকর্মীদের৷
প্রশাসন সূত্রে খবর, ভোটের কাজ বুঝে নিয়ে আজই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁঁছে যাওয়ার কথা ভোটকর্মীদের৷ কিন্তু, শিক্ষকদের দাবি, ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পৌঁছানো থেকে শুরু করে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে কমিশনকে৷ এই কাজে রাজ্য পুলিশ চলবে না বলেও দাবি জানানো হয়েছে৷
অন্যদিকে, সোমবার কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দফা ভোটে কোচবিহারে মোতায়েন করা হবে ৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ মঙ্গলবার আরও ৩ কোম্পানি বাহিনী বাড়ানো হয়েছে৷ ভোটকর্মীদের প্রশ্ন উঠছে, মোট ৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটে কোচবিহারে এলেও, অর্ধেক বুথে কেন মোতায়েন করা হচ্ছে? মূলত এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীদের একাংশ৷
জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় দুটি আসনে ভোটগ্রহণে মোতায়েন করা হচ্ছে ৮৩ কোম্পানি আধা সেনা৷ ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসেছে ৭৯ কোম্পানি বাহিনী৷ আজ আরও ৪ কোম্পানি বাহিনী আসছে৷ এর মধ্যে দুই কেন্দ্রের ৫০-৬০ শতাংশ বুথ থাকছে স্পর্শকাতর কেন্দ্রে৷ সেখানে মোতায়েন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ থাকছে মোবাইল পেট্রোলিং ব্যবস্থাও৷ দায়িত্বে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাঁধে৷