আজ বিকেল: SSC-র ওয়েটিং লিস্টে থাকা অধিকাংশ চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ সমস্যা মেটাতে বড়সড় উদ্যোগ নিল কমিশন৷ মঙ্গলবার বিকাশভবনে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে পাঁচ জনের কমিটির বৈঠক হয়৷
ওই কমিটির অন্যতম সদস্য এবং কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার বলেন, ‘আইনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে যতটা সম্ভব ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগের ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে৷’ তবে, এদিনের বৈঠকে কোনও অনশনকারীদেক ডাকা হয়নি৷ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর প্রার্থীদের ডাকা হবে বলে তিনি জানান৷
ওয়েটিংলিস্টে থাকা এসএসএসি চাকরিপ্রার্থীরা চাকরির দাবিতে টানা প্রায় এক মাস অনশন চালিয়ে গিয়েছেন৷ তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়৷ সেই কমিটির কাছে প্রার্থীরা তাঁদের দাবি লিখিত ভাবে জানান৷
স্কুল সার্ভিস কমিশনের আন্দোলনরত প্রার্থীদের জন্য চাকরির বন্দোবস্ত করছে সরকার। তবে তা ভিন্ন পথে। মূলত চেপে রাখা বা আন রিপোর্টেড শূন্যপদে আন্দোলনকারী এসএসি প্রার্থীদের নিয়োগ করা যায় কি না তা খথিয়ে দেখা হচ্ছে। এই মর্মেচাকরি দিতে শূন্যপদও খুঁজতে শুরু করেছে সরকার। বিষয়টি ইতিবাচক হলেও এনিয়ে আইনি জটিলতায় পড়তে হতে পারে সরকারকে। তবে এসব দিকে কান না দিয়েই সরকারের তরফে ইতিমধ্যে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই কমিটিই শূন্যপদ খোঁজার কাজ শুরু করেছে।
বলা বাহুল্য, বেশ কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় কমিশন এসএসসির আঞ্চলিক অফিসগুলি থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে। এরফলে সেখানকার যাবতীয় কর্মপদ্ধতি কেন্দ্রীয় অফিস হস্তান্তর করেছে। সেই সময় কোনও কারণ বসত বেশকিছু শূন্যপদের তালিকা আঞ্চলিক অফিসগুলি থেকে কেন্দ্রীয় কমিশনের হাতে এসে পৌঁছায়নি। এখন আন্দোলনকারীদের চাকরি দিতে সেই আনরিপোর্টেড শূন্যপদের সন্ধান শুরু করেছে রাজ্য। একই সঙ্গে বিশেষ বদলি-সহ যে চেপে রাখা শূন্যপদের তালিকা রয়েছে সেগুলিও এক্ষেত্রে কাজে লাগানো হতে পারে।
এদিকে গোটা বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশার অন্ত নেই। কেননা, প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর যাঁরা চাকরি পেয়ে গিয়েছেন তাঁদের অনেকেরই পোস্টিং বাড়ির থেকে অনেক দূরে। এদিকে এই চেপে রাখা পদে যাঁরা চাকরি পাচ্ছেন তাতে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগই নিজের এলাকায় সুযোগ পাচ্ছেন। এসব দেখে প্রথম কাউন্সেলিংয়ে চাকরি পাওয়া প্রার্থী হয়তো অবমাননার অভিয়োগ তুলে মামলা করতে পারেন। সাধারণত একই নিয়মে এসএসসি-র নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে থাকে। এভাবে শুধু আন্দোলনকারীের ঠান্ডা করতে নিয়ম বহির্ভূত কাজ হলে, অন্য চাকরি প্রার্থীরা অথম চাকরি পেয়ে যাওয়া কোনও ক্যান্ডিডেট কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। তাতে সুখ দূরে থাকে স্বস্তিও কাছ ঘেঁষবে না তা বলাই বাহুল্য।