কলকাতা: ভোটপ্রচারের কাজ করতে হবে, এই যুক্তিতে ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি নিচ্ছেন বহু শিক্ষক৷ রবিবার বাঁকুড়ার একটি তালিকা সামনে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রার্থীর হয়ে প্রচারের কাজে থাকতে হবে বলে ভোটের ডিউটি থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন আড়াইশোরও বেশি শিক্ষক৷ এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি রয়েছেন শাসকদলের শিক্ষকরা৷
অর্থাৎ, তৃণমূলের তরফে আবেদনের ভিত্তিতেই তাঁদের ছাড় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর পরেই রয়েছে বিজেপির সমর্থক শিক্ষকরা। এছাড়াও ফরওয়ার্ড ব্লক এবং বামপন্থী অন্য দলের শিক্ষকরাও রয়েছেন। নাম অপ্রকাশিত রাখার সর্তে এক শিক্ষক নেতা জানান, এলাকায় প্রচার থেকে যাবতীয় কাজের দায়িত্ব আমার উপরে থাকে। তাই দলের তরফে আমার হয়ে ছাড় চাওয়া হয়েছে৷ তবে, এই ছাড় পাওয়া নিয়ে সবাই যে কথা বলতে খুব স্বচ্ছন্দ, তেমন নয়৷
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকর্মী হিসেবে থাকা শিক্ষক রাজকুমার রায়ের মৃত্যুর পর এবার নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন হচ্ছে। শিক্ষকদের মিছিলে স্লোগান উঠছে, কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার, হতে চাইনা রাজকুমার। আবার কোথাও স্লোগান তোলা হচ্ছে, প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাব না, ভোটের ডিউটি করব না। শনিবার প্রেস ক্লাবে এই আন্দোলন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের সভানেত্রী কৃষ্ণকলি বসুকে। তিনি বলেছিলেন, রাজকুমার রায়ের মৃত্যু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সেটাকে ঢাল করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আন্দোলন আসলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যদিও, সবার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত থাকা উচিত, এই দাবির ব্যাপারে ওয়েবকুপা একমত।