হিমাচল: বাসের সিটে হাত রেখে বসা অচেনা লোকটিকে বার বার হাত সরাতে বললেও শোনেননি তিনি, উলটে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, তোমার মেয়ে পুলিশ নাকি! সেই বয়সে ডিসির মানে না বুঝলেও ঠিক করে নিয়েছিলেন যে বড় হয়ে আইপিএস হবেনই। সেই শুরু৷ তারপর কঠিন লড়াইয়ে এল সাফল্য৷
ডিএভি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন ৯২% নম্বর নিয়ে। উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন ৭৭% নম্বর পেয়ে। পালামপুরের হিমাচলপ্রদেশ এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি থেকে এগ্রিকালচার নিয়ে স্নাতক করেন শালিনী। এরপরেই শুরু হয় ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি। ফ্রি ইন্টারনেট ব্যাবস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে শালিনী বলেন “আমি ঘন্টার পর ঘন্টা অনলাইন থাকতাম। জানতাম, পড়তাম কিম্বা ইউপিএসসি পরীক্ষা কেমন হয় সেটাই বোঝার চেষ্টা করতাম”। ২০১১ সালে ইউপিএসসি পরীক্ষা দেন শালিনী। প্রথমবারেই বাজিমাত। স্বপ্নপূরণ করে ৬৫ তম ব্যাচের আইপিএস অফিসার হন শালিনী। বললেন, “আমার বাবাকেও যখন লোকে স্যার বলে ডাকে, তখন নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ বলে মনে হয়৷”
শালিনীরা তিন ভাইবোন, তিনজনেই অভাব কে জয় করে বাবামায়ের মুখোজ্জ্বল করেছেন। দিদি দন্ত চিকিৎসক, ভাই ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যানতসকার শালিনী আইপিএস অফিসার।