ফের থমকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া, কমিশনের ভূমিকায় বাড়ছে ক্ষোভ

কলকাতা: ভোটের গেরোয় ফের থমকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ ফের পিছিয়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকের তথ্য যাচাইয়ের পর্ব৷ এই মাসের শেষে উচ্চ প্রাথমিকের তৃতীয় দফার ভেরিফিকেশন হবে বলে কমিশনের তরফে জানানো হলেও তা আপাতত স্থাগিত রাখা হয়েছে৷ কিন্তু, হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত বদল? কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ভোটের কথা মাথায় রেখে ভোটের তিন দিন আগে ও

ফের থমকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া, কমিশনের ভূমিকায় বাড়ছে ক্ষোভ

কলকাতা: ভোটের গেরোয় ফের থমকে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ ফের পিছিয়ে গেল উচ্চ প্রাথমিকের তথ্য যাচাইয়ের পর্ব৷ এই মাসের শেষে উচ্চ প্রাথমিকের তৃতীয় দফার ভেরিফিকেশন হবে বলে কমিশনের তরফে জানানো হলেও তা আপাতত স্থাগিত রাখা হয়েছে৷

কিন্তু, হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত বদল? কমিশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ভোটের কথা মাথায় রেখে ভোটের তিন দিন আগে ও পরে ভেরিফিকেশনের দিন ধরার্য করা হবে না৷ কিন্তু, আগামীকাল তৃতীয় দফার ভোট থাকার কারণে ভেরিফিকেশনের দিন পিছিয়ে দিয়েছে কমিশন৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, তৃতীয় দফার ভোটের কারণ দেখিয়ে কমিশন যদি ভেরিফিকেশনের দিন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে তো এখনও চার দফার নির্বাচন বাকি৷ সেক্ষেত্রেও কি একই কারণ দেখাতে পারে কমিশন?

চতুর্থ দফার নির্বাচন রয়েছে ২৯ এপ্রিল৷ পঞ্চম দফায় ভোট রয়েছে ৬ মে৷ ষষ্ঠ দফার ভোট ১২ মে৷ শেষ দফার নির্বাচন ১৯ মে৷ দেখা গিয়েছে তৃতীয় দফার সঙ্গে চুতুর্থ দফার ভোটের ব্যবধান রয়েছে ৬ দিন৷ চতর্থ থেকে পঞ্চম দফার ব্যবধান রয়েছে এক সপ্তাহ৷ পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ দফার ব্যবধান ৬ দিন৷ শেষ দফার ব্যবধান রয়েছে এক সপ্তাহের৷ ফলে, কমিশনের ভাবনা অনুযায়ী ভোটের আগে ও পরে তিন দিন সময় রেখতে গেলে চতুর্থ থেকে পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ থেকে শেষ দফার মধ্যে ভেরিফিকেশনের দিন ধরার্য করতে হবে৷ ফলে, চলতি সপ্তাহে ভেরিফিকেশনের দিন ধরার্য হচ্ছে না৷ সবঠিকঠাক থাকলে আগামী ২ মে অথবা ১৫ মের পর ভেরিফিকেশন শুরু হতে পারে৷

ইতিমধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় দফা মিলিয়ে উচ্চ প্রথমিকে ভেরিফিকেশনের ডাক পেয়েছিলেন প্রায় ২৩ হাজার চাকরিপ্রার্থী৷ ১৩হাজার ৮০টি শূন্যপদের জন্য গেজেট মেনে ১:৪:৪ অনুপাতে ওয়েটিং প্রার্থীদের জন্য তৃতীয় দফার  ভেরিফিকেশনে চাকরিপ্রার্থীদের ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তৃতীয় দফায় প্রায় ১০ হাজার প্রার্থীকে ডাকা হবে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর৷

২০১৫ সালে ১৬ আগস্ট আপার প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা গ্রহণ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ এক বছর পর ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করে৷ আরও দু’বছর পর ২০১৮ সালে চাকরি-প্রার্থীদের ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য তালিকা প্রকাশ করা হয়৷ এরপর ২০১৯-এ ফেব্রুয়ারি লাগাতার আন্দোলন-লাঠিচার্জ-গ্রেপ্তারির পর কার্যত বাধ্য হয়ে ভেরিফিকেশনের নোটিস প্রকাশ করে কমিশন৷ চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ,  ভেরিফিকেশনের নোটিস দিতে যদি কমিশনের তিন বছর লেগে যেতে পারে, তাহলে ভোটের কারণ দেখিয়ে ভেরিফিকেশনের পিছিয়ে যাওয়ার ঘটনা খুবই স্বাভাবিক!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + 6 =