কলকাতা: ইতিহাসের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় ১০টি প্রশ্নের উত্তর কী, তা জানতে কমিশনকে বিস্তারিত তথ্য জানাতে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ অবিলম্বে এই তথ্য জানানো নির্দেশ আদালতের৷
২০১২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে গুরুতর প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন সুধৃতি গঙ্গোপাধ্যায়৷ শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসেও সফল পরীক্ষার্থীদের তালিকায় তাঁর ঠাঁই হয়নি কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তিনি কমিশনের কাছে তথ্য জানার অধিকার অনুযায়ী আবেদন করেন। কিন্তু, কোনও জবাব পাননি। বাধ্য হয়ে কমিশনের অ্যাপিলেট অথরিটির কাছে তিনি একই আবেদন করেন। কোথায় তাঁর ভুল হল, তা তিনি জানতে চান। তাঁকে পাঠানো হয় তাঁর ‘ওয়েব মার্কশিট’, যা আদতে তাঁর উত্তরপত্র। যা খতিয়ে দেখে তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর দেওয়া অন্তত ১০টি উত্তরকে কমিশন ভুল বলে চিহ্নিত করেছে। অথচ, প্রখ্যাত লেখকদের বিভিন্ন বই খতিয়ে দেখে তিনি নিশ্চিত হন, ভুল তাঁর নয়, কমিশনের৷ সুধৃতি এবার তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী এনসিইআরটি’র দ্বারস্থ হন। ওই ১০টি প্রশ্ন পাঠিয়ে জানতে চান, কোন উত্তরটি সঠিক।
এনসিইআরটি বা ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং যে প্রশ্নের উত্তরগুলিকে সঠিক বলে জানিয়েছে, রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন সেগুলিকেই ভুল বলে চিহ্নিত করে৷ এই প্রেক্ষাপটে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার কমিশনকে বলেছেন, হলফনামা দিয়ে তাদের বলতে হবে যে, এনসিইআরটি’র দেওয়া উত্তর ভুল। তার সপক্ষে কমিশনকে দিতে হবে তথ্যও।