চাকরি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আর্জি বাংলার কর্মহীন যুবকদের

কলকাতা: দেশের কর্মসংস্থানকে হাতিয়ার করে যখন লোকসভা ভোটের যুদ্ধ জয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল, ঠিক তখনই চাকরির দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ একদল কর্মহীন যুবক৷ ভোটের কাজে তাঁদের নিয়োগ করার আর্জি জানিয়ে চিঠি৷ তবে, কমিশনে গিয়ে চাকরি দাবি জানানোর মধ্য দিয়ে শনিবার অজয় নায়েকের নিয়োগের বিরোধীতা করা হয়৷ অবসরের পরেও কীভাবে পর্যবেক্ষক? অজয় নায়েকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন

8713926890c8ebff7570330cf2ef350d

চাকরি চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আর্জি বাংলার কর্মহীন যুবকদের

কলকাতা: দেশের কর্মসংস্থানকে হাতিয়ার করে যখন লোকসভা ভোটের যুদ্ধ জয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল, ঠিক তখনই চাকরির দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ একদল কর্মহীন যুবক৷ ভোটের কাজে তাঁদের নিয়োগ করার আর্জি জানিয়ে চিঠি৷

তবে, কমিশনে গিয়ে চাকরি দাবি জানানোর মধ্য দিয়ে শনিবার অজয় নায়েকের নিয়োগের বিরোধীতা করা হয়৷ অবসরের পরেও কীভাবে পর্যবেক্ষক? অজয় নায়েকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিইও দপ্তরে যান কর্মহীনরা৷  ভোটের কাজে নিযুক্ত করার দাবিতে কমিশনের কাছে চিঠিও দেন তাঁরা৷

এদিন কমিশন থেকে বেরিয়ে এক কর্মহীন যুবক বলেন, ‘‘দেশের পরিস্থিতি এখন ভয়ানক৷ আজ, যাঁরা বিশেষ পর্যবেক্ষক হয়েছেন, তাঁরা সরকারি কর্মীই নন৷ কিন্তু, তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে৷ এমনিই দেশের বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ আমরাও বেকার৷ কিন্তু, তাঁরা সরকারি কর্মচারী না হয়ে, নির্বাচন কমিশনের কাজ করতে পারে, আমরাও তো বেকার ছেলে৷ আমরাও কাজ করতে চাই৷’’ অন্য এক যুবক বলেন, ‘‘অজয় নায়েক যদি চাকরি পেতে পারেন, তাহলে আমরা কেন পাব না৷’’

গতবছর জুলাই মাসে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার প্রক্রিয়া তদারকরি জন্য ১২০০ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে চুক্তিতে নিয়োগের পরিকল্পনা নেয় খাদ্যদপ্তর। গতবছর মার্চে কলকাতা পুরসভা অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ না করে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত ঘিরেও ওঠে প্রশ্ন৷

বিশেষ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে অজয় নায়েক ও বিবেক দুবের নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই জোড়া মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারীরা দ্রুত বিষয়টির বিচার চেয়েছেন। তবে হাওড়া আদালতে আইনজীবী নিগ্রহের ঘটনার জেরে কর্মবিরতির জল কতদূর গড়ায়, তার উপরেই নির্ভর করবে এইসব মামলার ভবিষ্যৎ।

একটি মামলা বারাকপুর লোকসভা আসনের নির্দল প্রার্থী রামু মান্ডির। অন্যটি হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকারের। রামু মান্ডির দাবি, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন না মেনেই ওই দুই প্রাক্তন আইএএস এবং আইপিএস অফিসারকে এই রাজ্যের ভোটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি। তিনি মনে করেন, এঁরা ভোটে শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করতে পারেন। তার মুখ্য কারণ, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ায় তাঁদের ‘সার্ভিস বুকে’ কালো কালির আঁচড় লাগার সম্ভাবনা নেই। তাই তিনি চান, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এঁদের কাজকর্মে লাগাম পরিয়ে দিক আদালত। তাঁদের সুপারিশের ভিত্তিতে কমিশন এখনও পর্যন্ত যে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অন্তর্বর্তী নির্দেশে স্থগিত করে দেওয়া হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *