নয়াদিল্লি: গরু পাচার কাণ্ডে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল সহ আপাতত গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। কিন্তু তারা ছাড়াও যে আরও অনেকে এই পাচার কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত তা মনে করছে ইডি। সেই প্রেক্ষিতে অনুব্রত কন্যাকেও তলব করেছে তারা। এছাড়া শুক্রবার তলব করা হয়েছিল অনুব্রতর ‘রাঁধুনি’ বিজয় রজককে। যিনি আজ তলবে সাড়া দিয়ে দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেন। অনুমান করা হচ্ছে, গরু পাচার কাণ্ডে তিনিও সামিল।
আরও পড়ুন- অনুব্রত কন্যার ১৬ কোটির FD কালো টাকাতেই! জানতে পারল ইডি
গত ৭ মার্চ আসানসোল থেকে কলকাতা আসার সময়ে শক্তিগড়ে অনুব্রতর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পেশায় লাভপুর কলেজের শিক্ষাকর্মী বিজয়। কিন্তু ইডি জানতে পেরেছে তার নাকি কোটি টাকার সম্পত্তি। কী ভাবে এত টাকার মালিক হলেন তিনি? গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, প্রথমে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ‘রাঁধুনি’ হিসেবে কাজ করতেন এই বিজয় এবং গরু পাচারের টাকা বহুবার বিজয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট দিয়ে পাচার হয়েছে যা করেছেন খোদ তৃণমূল নেতা। এভাবেই নাকি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফুলেফেঁপে উঠেছে বিজয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেই কারণেই আজ তাঁকে আয়কর ও ব্যাঙ্ক লেনদেনের নথি নিয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”জেরায় যাবেন কেষ্ট ঘনিষ্ঠ কৃপাময়? ED summons Anubrata-close aide Kripamoy Ghosh” width=”853″>
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রাঁধুনি হিসেবে কাজ করার পর লাভপুর কলেজে শিক্ষাকর্মীর চাকরি পান বিজয়। এরপর যখন তৃণমূলের তরফে নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে জোর দিতে বলা হয় তখন অনুব্রত বিজয়কেই সেই দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন থেকেই তৃণমূল নেতার আরও কাছাকাছি চলে আসেন তিনি। একেবারে ছায়াসঙ্গী হয়ে যান। এই সময়ের পর থেকেই পাচারের বেআইনি টাকা তার অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন করতেন অনুব্রত বলে খবর।