নয়াদিল্লি: ভারতে বহু সময় হল নিষিদ্ধ হয়েছে টিকটক। কিন্তু অ্যাপ নিয়ে ভারতীয়দের চিন্তার কোনও শেষ নেই আপাতত। কারণ দাবি করা হচ্ছে, এই অ্যাপের মাধ্যমেই বহু ভারতীয়দের তথ্য হাতে চলে গিয়েছে চিনের। সম্প্রতি এই দাবিই করেছে ‘ফোর্বস’। তাদের কথায়, কোটি কোটি ভারতবাসীর ব্যক্তিগত বহু তথ্য টিকটকের মাধ্যমে চলে গিয়েছে বেজিং সরকারের হাতের মুঠোয়। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওই অ্যাপ সংস্থা।
আরও পড়ুন- চলে গেলেন ‘পরিণীতা’র পরিচালক, ৬৭-তে প্রয়াত প্রদীপ সরকার
ফোর্বস বলছে, এই মুহূর্তে সঠিক সংখ্যা না বলা গেলেও এটুকু বলাই যায় যে, কোটির ওপর ভারতীয় ব্যক্তিদের তথ্য চিনের কাছে চলে গিয়েছে এই অ্যাপের মাধ্যমে। আর এই তথ্য নাকি তাদের দিয়েছে খোদ এক টিকটক কর্মী। রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, সংস্থার যে কোনও কর্মী যাঁদের কাছে এই অ্যাপে কাজ করার ন্যূনতম ‘পারমিশন’ আছে তারাই এমনভাবে বহু তথ্য হারিয়ে নিতে পারবে। ঠিক এই উপায়েই চিন বহু ভারতীয়র ব্যক্তিগত তথ্য, নথি পেয়ে গিয়েছে বলেই দাবি। কিন্তু ঠিক কত মানুষের তথ্য এইভাবে হাতানো গিয়েছে? এর জবাব একটি ছোট তথ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায়। নিষিদ্ধ হওয়ার সময় দেশে টিকটকের ইউজার সংখ্যা ছিল ১৫ কোটি।
প্রসঙ্গত, লাদাখ সীমান্তের ঘটনা নিয়ে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। তারপর বহু চিনা অ্যাপ সুরক্ষার খাতিরে নিষিদ্ধ করেছিল ভারত সরকার। তার মধ্যে ছিল ‘টিকটক’। যদিও ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারতে ‘টিকটক’-এর ৪০ জন কর্মী কাজ করছিলেন। তবে তারা এদেশের বাজারের জন্য নয়, দুবাই এবং ব্রাজিলের বাজারের জন্য কাজ করছিলেন। কিন্তু ওই মাসেই তাদের সরানোর নোটিস পাঠানো হয়েছিল সংস্থার তরফে।