নয়াদিল্লি: ‘মোদী’ পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ ২০১৯ সালের সেই মামলায় বৃহস্পতিবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের সাজাও শোনায় গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত৷ এরপরেই আজ তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এই মুহূর্তে আর কংগ্রেসের সাংসদ নন রাহুল গান্ধী। তাহলে তিনি কি আর লোকসভায় ফিরতে পারবেন না? পদও কি আর ফেরত পাবেন না?
আরও পড়ুন- ‘ED-CBI-এর অপব্যবহার করছে কেন্দ্র’, সুপ্রিম কোর্টে মামলা ১৪টি বিরোধী দলের, সামিল তৃণমূলও
রাহুল গান্ধীর যেহেতু ২ বছরের জেলের সাজা হয়েছে তাই নিয়ম অনুসারে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল। কিন্তু এরপরেই তাঁর সাংসদ পদ ফেরত আসতে পারে। বিষয় হল, উচ্চতর আদালত যদি সুরাট জেলা আদালতের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে এবং রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য লোকসভা সচিবালয়কে নির্দেশ দেয়, তাহলে তাঁর পদ ফিরতে পারে। খাতায়-কলমে এইভাবে রাহুল গান্ধী আবার লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদ হিসেবে অবতীর্ণ হতেই পারেন। কিন্তু আপাতত বিজেপি শিবিরের যে তৎপরতা তাতে এমন কিছু হবে না বলেই মনে করছে বিরোধী শিবির। তারা এও ভাবছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ওয়েনাড়ে উপনির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করা হতে পারে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”তৃণমূলকেই কি অস্বস্তিতে ফেলবেন পার্থ? Will Partha’s comment put TMC in uncomfortable position?” width=”835″>
প্রসঙ্গত এর আগে, খুনের চেষ্টার অপরাধে ১০ বছর জেলের সাজাপ্রাপ্ত লক্ষদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জলকে লোকসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে কেরল হাইকোর্ট, একই সঙ্গে তাঁর সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে। এখন ফয়জল যদি সদস্য পদ ফেরত পান, তাহলে একই ভাবে রাহুল গান্ধীও পাবেন।