আজ বিকেল: কর্মক্ষেত্রে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে চাকরি খুইয়েছেন বাবা, তাও বেশ কয়েকবছর হয়ে গেল। দেশরাজনীতির সংজ্ঞা না বুঝলেও ছোট্ট সার্থক জানে বাবার চাকরিটা আর নেই। সে মোদিকেও জানে, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তা নরেন্দ্র মোদি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জনধন যোজনা, আচ্ছেদিনে, বিকাশ, চৌকিদারি। এত তকমা যাঁর ঝুলিতে হাজারটা জনবিরোধী প্রকল্প উতড়ে দিয়েও যে জনতার ভোটে সসম্মানে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর অধরা নিশ্চই কিছুই নেই. চাইলে করতে পারেন না এমন কাজও তাঁর কাছে নেই। সেই মোদিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি তার বাবার চাকরি পুনরায় ফিরিয়ে দিতে পারেন। সেজন্য মোদির উদ্দেশ্যেই ৩৬টি চিঠি লিখেছে ফেলেছে ওই কিশোর। বাবার চাকরি ফিরে পাওয়ার সেসব আবেদনে উত্তর মেলেনি। এবার মোদি ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, জানতে পেরেই ৩৭-তম চিঠিটি লিখল সার্থক।
জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে চাকরি গিয়েছিল এক ব্যক্তির। তাঁকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ৩৭ টি চিঠি লিখেছে তাঁর ছেলে। তার নাম সার্থক ত্রিপাঠি। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
প্রতিটি চিঠিতেই সার্থক লিখেছে, তার বাবা চাকরি হারানোর পরে তাদের পরিবার রীতিমতো অভাবের মধ্যে পড়েছে। তার বাবাকে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তবে তাদের পরিবার দারিদ্রের কবল থেকে মুক্তি পাবে। তার বক্তব্য, বাবাকে অকারণে ছাঁটাই করা হয়েছে। ১৩ বছরের ছেলেটি ২০১৬ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে চলেছে। এর আগের ৩৬ টি চিঠিতে কোনও জবাব পায়নি। এবার সে লিখেছে, আমি শুনেছি, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। সেজন্য আমি আপনাকে অনুরোধ করছি, একবার অন্তত আমার কথা শুনুন।
সংবাদমাধ্যমকে সার্থক জানিয়েছে, কয়েকজন মিলে ষড়যন্ত্র করে তার বাবাকে চাকরি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এর বিহিত করার জন্যই সে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখে। সে চায়, যারা তার বাবার ক্ষতি করেছে, তাদের শাস্তি হোক।