নিয়োগপত্র না পেয়ে হাই কোর্টের দরজায় ধর্না চাকরি প্রার্থীদের

কলকাতা: নিয়োগপত্র না পেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসেই ধর্নায় বসলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে জমায়েত করেন নিয়োগপত্র না পাওয়া প্রায় ২৫০জন চাকরিপ্রার্থী৷ হাইকোর্টের ১৭ নম্বর এজলাসে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ মানলার শুনানি ছিল৷ মামলা দ্রুত নিস্পত্তিরও দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা৷ আদালত সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে ওঠে শারীরশিক্ষা

ee9d4c699ad4a0a99d576055f338a51f

নিয়োগপত্র না পেয়ে হাই কোর্টের দরজায় ধর্না চাকরি প্রার্থীদের

কলকাতা:  নিয়োগপত্র না পেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের এজলাসেই ধর্নায় বসলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ৷ আজ, সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট চত্বরে জমায়েত করেন নিয়োগপত্র না পাওয়া প্রায় ২৫০জন চাকরিপ্রার্থী৷ হাইকোর্টের ১৭ নম্বর এজলাসে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ মানলার শুনানি ছিল৷ মামলা দ্রুত নিস্পত্তিরও দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা৷

আদালত সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের এজলাসে ওঠে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ মামলা৷ মামলার শাওয়াল-জবাব শুনে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় আগামী সাত দিনের জন্য অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের নির্দেশ দেন৷

স্থগিতাদেশ জারি হওয়ার পর আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয়, ‘‘আম হাইকোর্টের ১৭ নম্বর কোর্টের অবস্থান বিক্ষোভ দেখায়৷ পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের কর্মরত ও পুলিশের সহযোগিতায় হাই কোর্টের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি মেলে৷ সাক্ষাতের পর জানা যায়, আগামী সোমবার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দু’টি মামলাটি কোন একটা রায়দান যাতে হয়, তার সুবন্দোবস্ত করবেন৷ তারপর আমরা অবস্থান তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই৷’’

ঠিক কী কারণে এই বিক্ষোভ? এবিষয়ে চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে এই মুহূর্তে ঝুলে  শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ আদালতের তরফে মেধাতালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চেয়ে পাঠানো হলেও তা এখনও করে উঠতে পারেনি কমিশন৷ আর এর জেরে থমকে নিয়োগ৷ চাকরি-প্রার্থীদের দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে অবিলম্বে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করুক কমিশন৷

নিয়োগে সমস্যা কোথায়? চাকরিপ্রার্থীদের তরফে জানানো হয়েছে, শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষা শিক্ষক নিয়োগের জয়েনিং প্রক্রিয়ার জন্য কমিশনের তরফে দু’টি দিন ধার্য করা হয়৷ ২৮ ও ৩০ জানুয়ারি সফল চাকরিপ্রার্থীদের  নিয়োগপত্র দেওয়ার কথা ছিল৷ ২৮ জানুয়ারি ৮৯০ চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়৷ নিয়োগপত্র বিলি শুরু হতেই ২৯ তারিখ আদালতের তরফে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়৷ বেশ কিছু ওয়েটিং চাকরিপ্রার্থীদের মামলার জেরে ৩০ জানুয়ারি ৮০৩ জন সফল চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগপত্র বিলির কাজ থমকে যায়৷ পরে, আদালতের তরফে চাকরিপ্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাওয়া হলেও তা এখনও জমা করে উঠতে পারেনি কমিশন৷ আর তার জেরেই দীর্ঘ পাঁচ মাস ঝুলে শারীরশিক্ষা ও কর্মশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ নিয়োগ থমকে থাকায় নিয়োগপত্র হাত না পেয়ে চূড়ান্ত বিপাকে ৮০৩ সফল চাকরিপ্রার্থী৷ তাঁদের দাবি, আদালতের নির্দেশ পালন করে স্থগিতাদেশের প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিক কমিশন৷ ফের চালু হোক নিয়োগ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *