কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনের কারণে বন্ধ ছিল শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া৷ দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন কারণ দেখয়িয়ে থমকে ছিল শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া৷ এই নিয়ে কম আন্দোলন করেননি চারকরিপ্রার্থীরা৷ সরকারের বিরুদ্ধাও বারংবার যুদ্ধ ঘোষণা করতেও দেখা গিয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের৷ লাগাতার আন্দোলন-বিক্ষোভের পর ভোটপর্ব মিটতেই নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য৷ শিক্ষক নিয়োগের কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সোমবার বিধানসভায় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী৷
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্য ইন্টার্ন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে কি না, বিরোধী দলের বিধায়কের প্রশ্নের জবাবে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্য এই মুহূর্তে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে৷ জুলাই মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ রাজ্য সরকার অস্থায়ী নিয়োগ করবে না৷ ইন্টার্ন শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার নেয়নি৷ মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাত্র৷ রাজ্য সরকার যোগ্যতার ভিত্তিতে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করবে বলেও এদিন বিধানসভায় জানান পার্থবাবু৷
এদিন বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মিত্রর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীরা আদালতে গিয়ে দেরি করিয়ে দিচ্ছিলেন৷ তাই ইন্টার্ন নিয়োগের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছিল৷ তবে তা এখনও আলোচনাস্তরেই রয়েছে৷’’ তাঁর আশা, নতুন করে মামলা মোকদ্দমা না হলে জুলাই মাসে স্কুলগুলিতে সব শূন্যপদ পূরণ হয়ে যাবে৷ শিক্ষামন্ত্রীর কথাতেই স্পষ্ট, ইন্টার্ন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, তা থেকে পিছু হল রাজ্য৷
গত ১৪ জানুয়ারি, রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলিতে শিক্ষক অভাব মেটাতে নয়া পরিকল্পনার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবন, ডুয়ার্স, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরে সদ্য স্নাতক যুবক-যুবতীদের ইন্টার্ন হিসেবে নিয়োগের ভাবনা চিন্তা কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে এই ইন্টার্নদের নিয়োগ করা হবে। প্রাথমিকে ভাতা মিলবে দু’হাজার টাকা। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে মিলবে আড়াই হাজার টাকা। সাধারণ স্নাতকরা পড়াবেন প্রাথমিক স্কুলে। অনার্স অথবা মাস্টার্স থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে ইন্টার্ন হিসেবে নিয়োগ করা হবে৷ এই নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক৷