নয়াদিল্লি: গরু পাচার কাণ্ড ইতিমধ্যেই চার্জশিট ফাইল করেছে ইডি। অনুব্রত মণ্ডল, সায়গল হোসেন, এনামুল হক… এই তিনজনের বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অভিযোগ। তবে ইডি দাবি করেছে এই পাচার চক্রের মূল ‘কিংপিং’ এনামুল। আর তার তিন ভাগ্নেকে নিয়ে আরও বড় দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির কথায়, এনামুলের তিন ভাগ্নে কানাডার নাগরিকত্ব নিয়েছে। তাই ইতিমধ্যে তাদের ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছেন ইডি আধিকারিকরা।
এনামুলের তিন ভাগ্নে জাহাঙ্গির আলম ওরফে মন্টু, হুমায়ুন কবীর ওরফে পিন্টু ও মেহেদি হাসান এই পাচার ব্যবসায় সক্রিয়ভাবে জড়িত, এমনই দাবি করেছে ইডি। তাই তারা যদি দেশ থেকে পালিয়ে যেতে চূড়ান্ত সক্ষম হয় তাহলে এই পাচার কাণ্ডের অনেক তথ্যই সামনে আসবে না এবং মূল অভিযুক্তদের অনেকেই ছাড়া পেয়ে যাবে। তাই এই মুহূর্তে ইডি বিদেশ মন্ত্রক মারফৎ কানাডা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে এই তিনজনকে ফিরিয়ে আনতে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই তিনজন সেখানকার অভিবাসন দফতরের কাছে ভারতীয় পাসপোর্টসহ এখানকার নাগরিকত্ব সম্পর্কিত সমস্ত নথি জমা করেছে।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”হাজিরা দিতে এসে কবিগুরুর কবিতাপাঠ করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়! Partha Chatterjee in different mood” width=”560″>
কিন্তু এই তিনজন ঠিক কী কাজ করত গরু পাচার ব্যবসায়? ইডি দাবি করেছে, এই তিনজনের একটি হোটেল রয়েছে মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকায়। বিভিন্ন জায়গা থেকে লরিতে করে গরু এই হোটেলে আসত। এখান থেকে ট্রাক চালকদের টোকেন দিত তারা। প্রসঙ্গত সিআইডির জমা দেওয়া চার্জশিটেও তাঁদের নাম রয়েছে। এদিকে আজই ইডি আদালতে জানিয়েছে, গরু পাচারের তদন্ত অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। পুরোদস্তুর তদন্ত চলছে। গ্রেফতারির পর্ব এখনও শেষ হয়নি৷ আরও গ্রেফতারি হবে।