উদ্ধব ঠাকরে ভেবেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবেন একনাথ শিন্ডেকে। সেই আশাও পূরণ হলো না। দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় শিন্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধব। কিন্তু নিজের পদত্যাগ করার খেসারত দিতেই হল উদ্ধবকে। সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিল, পদত্যাগী উদ্ধব ঠাকরে কোনওভাবেই মুখ্যমন্ত্রীত্বে ফিরতে পারবেন না। ঠিক কি প্রত্যাশা নিয়ে উদ্ধব ঠাকরে সুপ্রিম কোর্র্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সেই দিকে লক্ষ্য রাখা যাক…
উদ্ধবের উদ্দেশ্য:-
• সুপ্রিম কোর্টে শিন্ডের কার্যকলাপকে “দলত্যাগী বিরোধী” প্রমাণ করা
• প্রমাণ হলেই উদ্ধবের প্রত্যাবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হতো
• শিন্ডের পদ হারানোর পথও অনেক বেশি প্রশস্ত হত
কিন্তু উদ্ধব ঠাকরের এই আবেদনে সাড়া দিল না সুপ্রিম কোর্ট। বরং দলত্যাগ বিরোধী বিষয়টিকেই গুরুত্ব না দিয়েই ‘দলবিরোধী’ বিধয়কদের পদ খারিজ করল না সুপ্রিম কোর্ট। বরং, শীর্ষ আদালতের ৫ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, গত জুনে শিন্ডে গোষ্ঠীর বিদ্রোহের সময় বিধানসভা ডেপুটি স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়ালের দলত্যাগী বিধায়কদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশকে এক্তিয়ার বহির্ভূত বলা হয়েছে।
উদ্ধব ঠাকরে কে নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে নির্দেশ, সেই বিষয়টিকে নজরে আনা প্রয়োজন।
উদ্ধবে সুপ্রিম রায়ঃ-
• বিধানসভায় আস্থা ভোটের আগে উদ্ধব নিজেই ইস্তফা দিয়েছিলেন
• তাই তাঁকে আবার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে ফেরোনো সম্ভব নয়
বিশ্লেষকদের মত, উদ্ধব নিজের কাজের খেসারত নিজেই দিলেন। যেখানে তিনি কোনও ভাবেই তাঁর হারানো পদ তিনি ফেরত পাবেন না। সুপ্রিম রায় সেই আশা আর রইলো না।
গত বছর জুনে শিবসেনার বিধায়কদের ধাপে ধাপে ভাঙিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন শিন্ডে। বিজেপির সাহায্যেই ক্ষমতাচ্যুত করেছিলেন উদ্ধব ঠাকরেকে। সেই দিন শিন্ডে ও তাঁর অনুগামী প্রথম দফার বিদ্রোহী ১৬ বিধায়কের কার্যকলাপ দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপ ছিল কি নাস বৃহস্পতিবার সেই মামলাই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। যেখানে সাংবিধানিক বেঞ্চ জানায়, শিন্ডে সহ ১৬ জনরেই পদ বহাল থাকবে।সবমিলিয়ে উদ্ধব ঠাকরের রাজনৈতিক ভবিষ্যত বড়সড় প্রশ্নের মুখে।