শিক্ষক নিয়োগে আমূল পরিবর্তন আনছে রাজ্য, সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কা

কলকাতা: স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তন করা হবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বিধানসভায় শিক্ষা দপ্তরের বাজেট নিয়ে আলোচনায় জবাব এই ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা তালিকা ওয়েটিং লিস্ট থাকবে না৷ সম্পূর্ণ মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ অনলাইনে সরাসরি শূন্য শিক্ষক পদ ও বিষয়গুলি আপলোড করা হবে৷ যদিও, এর আগে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছিলেন,

শিক্ষক নিয়োগে আমূল পরিবর্তন আনছে রাজ্য, সিঁদুরে মেঘের আশঙ্কা

কলকাতা:  স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি পরিবর্তন করা হবে বলে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ বিধানসভায় শিক্ষা দপ্তরের বাজেট নিয়ে আলোচনায় জবাব এই ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা তালিকা ওয়েটিং লিস্ট থাকবে না৷ সম্পূর্ণ মেধা তালিকা প্রকাশ করা হবে৷ অনলাইনে সরাসরি শূন্য শিক্ষক পদ ও বিষয়গুলি আপলোড করা হবে৷ যদিও, এর আগে শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরলীকরণ করা হবে৷ দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় জেরে অনেক সময় লেগে যায় শিক্ষক নিয়োগে৷ ফলে, এই প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা প্রয়োজন৷

পার্থ জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের বিধি বদল করা হচ্ছে৷ এ বার থেকে পুরো মেধা-তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হবে৷ কোনও ওয়েটিং লিস্ট থাকবে না৷ স্কুলে-স্কুলে শিক্ষকের শূন্যপদের তালিকা অনলাইনে আপলোড হয়ে যাবে৷ অবশ্য লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউ বা পার্সোনালিটি টেস্টে চলতি নিয়মেই প্রার্থীদের ডাকা হবে৷ বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, গোটা রাজ্যে শিক্ষকদের যে প্রযুক্তির মাধ্যমে মাস পয়লা বেতন দেওয়া হয়, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই রাজ্যজুড়ে এমন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে, যাতে কোনও স্কুলে শিক্ষক বদলি হলে বা অবসর নিলে সরাসরি অনলাইনে তা আপলোড হয়ে যায়৷ আলাদা করে বিদ্যালয় পরিদর্শক বা ডিআই, স্কুলশিক্ষা অধিকরণ বা এসএসসির ভূমিকা থাকবে না৷ পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ার আগেই এই বিধি কার্যকরী করতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন চাওয়া হবে৷

সিপিএম বিধায়ক প্রদীপ সাহা স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা উল্লেখ করে বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা কমছে রাজ্যের সমস্ত স্কুলে৷ জনসংখ্যা বাড়লেও ছাত্র সংখ্যা কমছে কেন? সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাচ্ছে? বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বাধ্য হয়েই পড়াশোনা করতে হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের৷ এটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি ক্লাস পরিচালনার জন্য খুব কম হলেও ৫ জন শিক্ষক প্রয়োজন হয়৷ ক্লাসের বাইরে মিড ডে মিল চালানো, কন্যাশ্রীর কাজ, এমনকি জুতো বিলির কাজ করতে হচ্ছে শিক্ষকদের৷ কিন্তু, দেখা যাচ্ছে একটা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের সংখ্যা তিন জন৷ কীভাবে স্কুলে পড়াশুনো চলবে? সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতা৷ স্কুলে প্রয়োজনীয় পদগুলি তৈরি করতেও এই মুহূর্তে ব্যর্থ রাজ্য সরকার৷ তিনি আরও বলেন, শিক্ষার মান শিক্ষার মান ক্রমশ থেকে অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসে পাঠ্য বইতে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হচ্ছে বাঘাযতীন বিনয়-বাদল-দীনেশ সন্ত্রাসবাদি৷

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থায় যা কিছু ঘটেছে, তার দায় পূর্বতন বাম সরকারের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেন৷ তিনি বলেন, যা কিছু সমস্যার কথা আলোচনা হচ্ছে তা পুরনো বর্তমান রাজ্য সরকারের৷ পূর্বতন রাজ্য সরকারের সমস্যা নিয়েই আমরা চলছি৷ কিন্তু, বর্তমান সরকার নতুন করে কোনও নিয়োগ নিয়োগ সমস্যা হয়নি৷ অতীত থেকে বেশি পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে৷ ২০১১ সালে প্রাথমিক শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৯০ হাজার ৭৯৪৷ ২০১৯-এ রয়েছে ২ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৮১৷ উচ্চ প্রাথমিকে ২০১১ সালে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৫১৷ ২০১৯-এ সেই সংখ্যা হয়েছে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৩৬ জন৷ ১৪ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে৷ তবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সরলীকরণ করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − ten =